কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আরেকটি দুর্ভাগ্যজনক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে আমাদের নির্বাচনে কিন্তু বাহির থেকে থাবা বা হাত এসে পড়েছে। আমাদের অর্থনীতি আমাদের ভবিষ্যত অনেক কিছু রক্ষা করতে হলে নির্বাচনটাকে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে হবে। তিনি বলেন, আমাকে যেভাবে ইউনাইটেড স্টেটস কমান্ড করতে পারে। আমি কিন্তু সেইভাবে ইউনাইটেড স্টেটস এর ওয়াশিংটনে গিয়ে হুমকি-ধুমকি করতে পারছি না। এটা একটা বাস্তবতা।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমাকে বাচঁতে হলে, আমার জনগনকে বাঁচতে হলে, আমার গার্মেন্টসকে বাঁচাতে হলে, আমার সাধারণ জনগনকে বাঁচাতে হলে যে দাবিটা আমার, জনগনের, পাশাপাশি বাহিরের। ওরা খুব বেশি দাবি করে নাই। একটাই দাবি বাংলাদেশে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনটা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হতে হবে। এখানে কোনো কারচুপির আশ্রয় নেয়া যাবে না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপ নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, অতি সম্প্রতি আমরা খুব কষ্ট পেয়েছি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং লক্ষ্মীপুরে ওখানেও সিল মারা হচ্ছে।
সিলমারাটা নির্বাচনের সংস্কৃতির অংশ হয়ে গিয়েছে দাবি করে সিইসি বলেন, এটা মন্দ সংস্কৃতি। পেশিশক্তির ব্যবহার করা। কালো টাকা ব্যবহার করা। এই ধরণের কারচুপি করা দীর্ঘদিন ধরে চর্চার মাধ্যমে একটা অপসংস্কৃতির চর্চা হয়ে গেছে। ক্রমান্বয়ে এই অপসংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এ সকল ক্ষেত্রে আমারা নিরন্তন চেষ্টা করছি। নির্বাচন কমিশন থেকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য নির্বাচন কমিশন যথাসাধ্য চেষ্টা করবে।
ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা ভাবতে হবে জানিয়ে সিইসি বলেন, আমেরিকার গণতন্ত্র আড়াইশো বছরের বেশি হয়ে গেছে। আমাদের গণতন্ত্র অনেক নতুন। কিন্তু মাঝে মাঝে অনেক ধাক্কা, সামরিক শাসন, গণঅভ্যুথান ইত্যাদি হয়ে সাংবিধানিক প্রক্রিয়া স্থিরভাবে ৫০ বছর হয়ে উঠতে পারিনি।
নির্বাচনের দিন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা দেখতে চাই যারা ভোটার তারা আসছে, আসতে পারছে। তাদেরকে বাধা দিচ্ছে না। যদি বাধা দেয়া হয় তাহলে নির্বাচন প্রভাবিত হয়েছে। আমাদের মেয়েরা ছেলেরা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন।
লাইন যেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা থেমে না থাকে জানিয়ে তিনি বলেন, যদি থেমে থাকে তাহলে মনে করা হবে ভিতরে এই (সিলমারা) কাজটি হচ্ছে। লাইনটা চলমান থাকতে হবে। তারপর ওরা (ভোটাররা) ভোটাধিকার প্রয়োগ করে বেরিয়ে আসতে পারছে কি না। ভোটে অবিতর্কিত ফলাফলের প্রত্যাশা করেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৩০০ ‘নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি’ গঠন করে গত বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ইসি। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দায়িত্ব পাওয়া নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাচন কমিশনে ন্যস্ত থাকবেন। এসব কমিটি দায়িত্ব পালনকালে নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম সংঘটিত হলে, তা অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন পাঠাবে সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে। এরপর সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ওই অনুসন্ধান প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবের কাছে পাঠাবেন।
আমারা সেটা প্রতিহত করতে পারি নাই। আমাদের প্রশাসন পারেনি। আমাদের নির্বাচন কর্মকর্তারা পারেনি। এটা লজ্জাসকর।
সিলমারাটা নির্বাচনের সংস্কৃতির অংশ হয়ে গিয়েছে দাবি করে সিইসি বলেন, এটা মন্দ সংস্কৃতি। পেশিশক্তির ব্যবহার করা। কালো টাকা ব্যবহার করা। এই ধরণের কারচুপি করা দীর্ঘদিন ধরে চর্চার মাধ্যমে একটা অপসংস্কৃতির চর্চা হয়ে গেছে। ক্রমান্বয়ে এই অপসংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এ সকল ক্ষেত্রে আমারা নিরন্তন চেষ্টা করছি। নির্বাচন কমিশন থেকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য নির্বাচন কমিশন যথাসাধ্য চেষ্টা করবে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সকলে চোখ কান খোলা রেখে সৎভাবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন সিইসি। বলেন, নির্বাচন নিয়ে কিন্তু দেশ একটা সংকটে আছে। বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলাচালে আছে। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। এখানে সকলকে সমভাবে দায়িত্বশীল হয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা ভাবতে হবে জানিয়ে সিইসি বলেন, আমেরিকার গণতন্ত্র আড়াইশো বছরের বেশি হয়ে গেছে। আমাদের গণতন্ত্র অনেক নতুন। কিন্তু মাঝে মাঝে অনেক ধাক্কা, সামরিক শাসন, গণঅভ্যুথান ইত্যাদি হয়ে সাংবিধানিক প্রক্রিয়া স্থিরভাবে ৫০ বছর হয়ে উঠতে পারিনি।
নির্বাচনের দিন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা দেখতে চাই যারা ভোটার তারা আসছে, আসতে পারছে। তাদেরকে বাধা দিচ্ছে না। যদি বাধা দেয়া হয় তাহলে নির্বাচন প্রভাবিত হয়েছে। আমাদের মেয়েরা ছেলেরা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন।
লাইন যেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা থেমে না থাকে জানিয়ে তিনি বলেন, যদি থেমে থাকে তাহলে মনে করা হবে ভিতরে এই (সিলমারা) কাজটি হচ্ছে। লাইনটা চলমান থাকতে হবে। তারপর ওরা (ভোটাররা) ভোটাধিকার প্রয়োগ করে বেরিয়ে আসতে পারছে কি না। ভোটে অবিতর্কিত ফলাফলের প্রত্যাশা করেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৩০০ ‘নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি’ গঠন করে গত বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ইসি। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দায়িত্ব পাওয়া নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাচন কমিশনে ন্যস্ত থাকবেন। এসব কমিটি দায়িত্ব পালনকালে নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম সংঘটিত হলে, তা অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন পাঠাবে সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে। এরপর সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ওই অনুসন্ধান প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবের কাছে পাঠাবেন।
সূত্র : মানবজমিন