Site icon The Bangladesh Chronicle

ভিপি নুর ও তারেক রহমানের আলাপের স্ক্রিনশট ভাইরাল!

ভিপি নুর ও তারেক রহমানের আলাপের স্ক্রিনশট ভাইরাল!

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান , নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল নামে আইডি থেকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ চ্যাটের কিছু স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে।

বলা হচ্ছে, এই কথোপকথন ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের সঙ্গে হয়েছে। তবে এটি আসলেই তাদের কথোপকথন কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এই স্ক্রিনশট নিয়ে খবর প্রকাশ হয়েছে। এমন অবস্থায় অনেকে প্রশ্ন করেছে এটি কি ঐ চারজনের কথোপকথন?

হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট গ্রুপটির নাম ইংরেজিতে লিখা হয়েছে ‘team4’। নামের নিচে আসিফ, মান্না ও তারেক দেখা যাচ্ছে।

স্ক্রিনশটে দেখা যায়- তারেক নামের আইডি থেকে লেখা হয়েছে, ‘নুর আন্দোলন তো জমলো না।’

উত্তরে নুর নামের আইডি থেকে লেখা হয়েছে, ‘স্যার সব চেষ্টা তো হলো।’

এরপর তারেক নামের আইডি থেকে লেখা হয়, ‘আরও প্ল্যান করে করা উচিত সব। আমি আগেও বলেছি, লাশের বিকল্প নাই। যেকোনো উপায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে উত্তপ্ত করতে হবে। সকল নির্দেশনাই দেয়া হয়েছিল।’

এরপর আসিফ নামের আইডি থেকে লেখা হয়, ‘কামাল স্যারের সাথে তো বসা যায়।’

উত্তরে তারেক নামের আইডি থেকে লেখা হয়, ‘নো, ভ্যালুলেস।’

এরপর মান্না নামের আইডি থেকে লেখা হয়, বাম ছাত্রসংগঠনগুলোর কী অবস্থা নুর? নুর নামের আইডি থেকে লেখা হয়, আমাদের সাথে আছে স্যার।

মান্না নামের আইডি থেকে নির্দেশনা আসে, ‘কাজে লাগাও।’ নুর নামের আইডি থেকে তখন ছুরি হাতে শিবির নেতা বলে পরিচিত যুবক সালেহ উদ্দিন সিফাতের ছবি দেয়া হয়।’

ছবি দেখে মান্না নামের আইডি থেকে লেখা হয়, ‘ওদের কাজই এগুলো করা। এখন সত্য কিছু দিলেও পাবলিক আর বিশ্বাস করে না ওদের।’

এরপর নুর নামের আইডি থেকে লেখা হয়, ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মামুনদের ধরা না হলে আন্দোলন জমতো। আর ফারাবিও সুস্থ হয়ে গেল।’

তখন তারেক নামের আইডি থেকে লেখা হয়, ‘টক টু নিউ জেসিডি কমিটি, ডু সামথিং ইন প্রোপার ওয়ে।’


ভাইরাল হওয়া স্ক্রিনশট। ছবি: ফেসবুকউল্লেখ্য, গত ২২ ডিসেম্বর ডাকসু ভবনের মূল ফটক বন্ধ করে নূরের ওপর হামলা করেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা। একই সঙ্গে তার অনুসারীদেরও পেটানো হয়। ভাঙচুর করা হয় ডাকসু ভবন। হামলায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন বলে জানা যায়।

হামলার পর আহত নূরসহ ২৮ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা তুহিন ফারাবীকে ঢামেক হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। পরে ফারাবীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাকে ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়।

ভাইরাল হওয়া স্ক্রিনশট। ছবি: ফেসবুক

ইত্তেফাক/জেডএইচ

Exit mobile version