Site icon The Bangladesh Chronicle

ভারত পেয়েছে এক লাখ কোটি রুপির বিনিয়োগ প্রস্তাব, গেছে বাংলাদেশ থেকেও

ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত আছে, এমন প্রতিবেশীদের কাছ থেকে দেশটি ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত এক লাখ কোটি রুপি বিনিয়োগের (প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ-এফডিআই) প্রস্তাব পেয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেক প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। বাকি প্রস্তাবগুলোর মধ্যে কিছু প্রস্তাব বাতিল করা হয়েছে, কিছু প্রস্তাব ঝুলে আছে আর কিছু প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার সংবাদে জানানো হয়েছে, যেসব দেশ থেকে ভারত বিনিয়োগের প্রস্তাব পেয়েছে, সেসব দেশের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ থেকে ৮০ হাজার ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব পায় ভারত।

২০২০ সালের এপ্রিলে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, দেশটির সঙ্গে স্থল সীমান্ত আছে, এমন কোনো দেশ থেকে বিনিয়োগের প্রস্তাব এলে তার জন্য অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক। কোভিড-১৯-এর সময় বিপদগ্রস্ত দেশি প্রতিষ্ঠানগুলো যেন বিদেশিদের হাতে চলে না যায়, তা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

ভারতের সঙ্গে যেসব দেশের স্থল সীমান্ত আছে, সেগুলো হলো—চীন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভুটান, নেপাল, মিয়ানমার ও আফগানিস্তান। সিদ্ধান্ত অনুসারে, ভারতের যেকোনো খাতে এসব দেশের বিনিয়োগ প্রস্তাব এলে তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন নিতে হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভারতের এক সরকারি কর্মকর্তা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেছেন, এসব আবেদন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রস্তাবগুলো ভারতের উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা এসব প্রস্তাব বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা ও মন্ত্রণালয়ে পড়ে আছে।

তবে সেই সরকারি কর্মকর্তা এও জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

যেসব খাতে বেশির ভাগ প্রস্তাব এসেছে, সেগুলো হলো—ভারী যন্ত্রপাতি উৎপাদন, অটোমোবাইল, অটো যন্ত্রাংশ, কম্পিউটার সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার, বাণিজ্য, ই-কমার্স, হালকা প্রকৌশল ও বৈদ্যুতিক খাত।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, এসব প্রস্তাবের সিংহভাগই এসেছে চীন থেকে। এ ছাড়া নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশও কিছু প্রস্তাব দিয়েছে।

২০২০ সালের এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত ভারত চীনের এফডিআই পেয়েছে ২৫০ কোটি ডলারের, যা এসেছে মূলত ইক্যুইটি বিনিয়োগ হিসেবে। একই সময়ে ভারতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ করেছে ৮০ হাজার ডলার; নেপাল করেছে ৪৫ লাখ ১০ হাজার ডলার; মিয়ানমার করেছে ৯০ লাখ ডলার এবং আফগানিস্তান করেছে ২৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার।

প্রথম আলো

Exit mobile version