Site icon The Bangladesh Chronicle

ভারতের সীমান্ত রাজ্যগুলিতে বিএসএফের এলাকা বৃদ্ধি, সংসদে আপত্তি জানাবে তৃণমূল

VOA বাংলা

সীমান্তে পাহারা দিচ্ছেন বিএসএফের সদস্যরা- ফটো- দ্য ওয়াল
সীমান্তে পাহারা দিচ্ছেন বিএসএফের সদস্যরা- ফটো- দ্য ওয়াল

গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সংসদীয় কমিটির বৈঠক ছিল। সেখানেও বিএসএফের এলাকা বৃদ্ধি নিয়ে সরব হন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। আলোচ্যসূচিতে উপকুল রক্ষী বাহিনীর সঙ্গে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর বিষয়টিও যুক্ত করার আবেদন জানান তিনি। সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা। তিনিও তাতে সবুজ সংকেত দিয়েছেন। ফলে এবার সংসদেও এ ব্যাপারে আলোচনা তুলবে তৃণমূল।

স্বরাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিএসএফের এলাকা বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট তিন রাজ্যের সঙ্গে কথা বলবে। তাদের মতামত জানতে চাইবে কমিটি। বলাইবাহুল্য, এ ব্যাপারে অসমের হিমন্ত বিশ্বশর্মা এ ব্যাপারে হয়তো কোনও আপত্তি জানাবে না। কারণ, উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অমিত শাহের ঘনিষ্ঠতা। বিরোধিতা করার মতো রয়েছে বাংলা আর পাঞ্জাব।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নির্দেশিকা জারি করে বিএসএফের কাজের এলাকা বাড়ালেও সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে বিষয়টি সংসদের দু’টি কক্ষে পেশ করতে হবে সরকারকে। তখন বিষয়টির তীব্র বিরোধিতা করা হবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। তৃণমূল ছাড়াও এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছে কংগ্রেস, সিপিএম।

তাদের বক্তব্য, “বিএসএফ-কে দিয়ে এলাকা দখলের খেলা শুরু করেছে মোদী সরকার।” তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গের ২৩টি জেলার মধ্যে মোট ১০টি জেলা এর ফলে বিএসএফ-প্রভাবিত হবে। রাজ্যের মোট ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে প্রভাবিত হবে ২১টি আসন। এর গভীর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলেই মনে করেন তৃণমূল। যদিও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক বলেছেন, “এই সিদ্ধান্ত একেবারেই সীমান্ত সুরক্ষার বিষয়। তৃণমূল অযথা মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।”

Exit mobile version