নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল এ বৈঠকে ভারত থেকে রপ্তানি করা খাদ্যদ্রব্যে ক্যান্সারের বিষ পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। জনস্বাস্থ্য সম্পৃক্ত এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লিখিতভাবে একটি বিবৃতি দেওয়ার বিষয়ে বৈঠকে মতামত আসে।
গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম থেকে কয়েক মাস ধরে ভারতীয় পণ্য বর্জনের পক্ষে ব্যাপক প্রচার চালানো হচ্ছে। এর মধ্যে ২০ মার্চ সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভারতীয় পণ্য বর্জনের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানান। সেদিন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নিজের ব্যবহার করা ভারতীয় চাদর ছুড়ে ফেলেন তিনি।
এরই মধ্যে সম্প্রতি ভারতীয় খাদ্যদ্রব্যে ক্যান্সারের বিষ পাওয়ার তথ্য জানায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগ। তাদের অভিযোগ, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ভারত থেকে রপ্তানি করা এসব খাদ্যপণ্যে বিষ পাওয়া যায়।
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ও ন্যাশনাল ব্যাংকের সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের নগদ অর্থ দেওয়ার ঘটনার নিন্দা জানানো হয়।
জানা গেছে, বৈঠকে সাংগঠনিক নানা বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে সারাদেশে বিএনপির সদস্যদের কাছ থেকে নির্ধারিত মাসিক বকেয়া পরিশোধের বিষয়টিতে জোর দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে নেতারা আলোচনা করেন। তারা বলেন, প্রথম ধাপের নির্বাচনে সাধারণ জনগণ ভোট দিতে যায়নি। কম ভোটের ওই নির্বাচনে বিএনপি থেকে যেসব নেতা প্রার্থী হয়েছেন তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। এটা পরবর্তী ধাপের প্রার্থীদের জন্য বার্তা। প্রার্থীরা ভোট থেকে সরে দাঁড়ালে দলে ফেরার এখনও সুযোগ আছে। না হলে প্রার্থী হয়েও হারবেন, দলের পদও হারাবেন।
এ বিষয়ে তৃণমূলে স্পষ্ট বার্তা দেওয়ার বিষয়ে আবার সিদ্ধান্ত নেন নেতারা। বিএনপি নেতারা মনে করেন, প্রথম ধাপের ভোট সার্বিক দিক বিবেচনায় বড় প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছে। ফলে পরের ধাপে ভোটার উপস্থিতি আরও কমবে।
সমকাল