ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করেও রুপির এই পতন ঠেকাতে পারেনি।
ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সংঘাতের প্রভাবে রুপির দরপতন হয়েছে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, এ সংকটে আশপাশের দেশগুলো জড়িয়ে পড়বে। সে কারণে অপরিশোধিত তেলের দাম যেমন বাড়ছে, তেমনি মার্কিন মুদ্রা ডলারও শক্তিশালী হচ্ছে।
ভারতের বিদেশি মুদ্রাবিশেষজ্ঞ কেএন দে বলেন, মুদ্রাবাজারে ইসরাইল ও হামাস সংকটের প্রভাব পড়েছে। সেই সংকটে অন্যান্য দেশ যদি জড়িয়ে পড়ে আর তা পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের রূপ নেয়, তাহলে তেলের দাম বাড়বে।
ওদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক সপ্তাহে দুবার ইসরাইল সফর করেছেন এবং আগামী সপ্তাহে সৌদি আরবে অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনের জরুরি বৈঠক হচ্ছে। এসব ঘটনাপ্রবাহ থেকে বোঝা যায়, সময় অস্থির, যোগ করেন কেএন দে।
তার মতে, এখন ভারতীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজারে কতটা হস্তক্ষেপ করে, তার ওপর রুপির ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে। অর্থাৎ আরবিআই তার মজুত থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ করে দিলে রুপির আরও দরপতন হবে। এতে প্রতি ডলারের দর ৮৪ রুপিতে উঠতে পারে।
মাঝে এক বছর রুপির দর অনেকটা স্থিতিশীল ছিল। এর আগে ২০২২ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ বা ফেডের নীতি সুদহার বৃদ্ধির জেরে ডলারের বিপরীতে রুপির দর প্রথমবারের মতো ৮৩ ছাড়িয়ে যায়।
বাজারে ডলারের সরবরাহ বৃদ্ধি করতে গত বছর আরবিআই কিছু মুদ্রা বিনিময়ের চুক্তি করেছিল। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এসব চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো না গেলে বাজারে ডলারের সংকট আরও বাড়তে পারে।
শেয়ার বাজার