Site icon The Bangladesh Chronicle

ব্যাংক সচল রাখতে আলাদা ইন্টারনেট চালুর ভাবনা

ব্যাংক সচল রাখতে আলাদা ইন্টারনেট চালুর ভাবনা

বাংলাদেশ ব্যাংকে এ বৈঠকে সব ডেপুটি গভর্নর, কয়েকজন নির্বাহী পরিচালক এবং সরকারি-বেসরকারি বড় ব্যাংকগুলোর এমডি উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে কোন ব্যাংক কী ধরনের সমস্যায় পড়েছে, আগামীতে করণীয় কী সে বিষয়ে আলোচনা হয়। কয়েকজন এমডি বৈঠকে নিজের মতামত তুলে ধরেন।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে গত সপ্তাহে ইন্টারনেট সেবা পুরোপুরি বন্ধ ছিল। যে কারণে অ্যাপভিত্তিক লেনদেন করা যায়নি। আবার দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটির পর তিন দিন সাধারণ ছুটির কারণে সব ব্যাংক শাখা ছিল বন্ধ। ওই সময় বেশির ভাগ এটিএম বুথেও টাকা পাওয়া যায়নি। এরপর সীমিত পরিসরে কয়েকদিন লেনদেনের পর বুধ ও বৃহস্পতিবার স্বাভাবিক ব্যাংকিং শুরু হয়েছে। ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় নানা ক্ষতির কথা উঠে আসছে।

বৈঠক শেষে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হোসেন সমকালকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আলাদা অবকাঠামো নিয়ে ভাবছে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইটি বিভাগ থেকে শিগগির গভর্নরের কাছে একটি প্রস্তাব আসবে। তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া ইন্টারনেট এবং ব্যাংকিং খাতের ইন্টারনেট একই লাইনে রয়েছে। এটা হওয়া উচিত নয়। সুইচটা আলাদা হওয়া উচিত। তিনি বলেন, এবারের ঝামেলাকে কেন্দ্র করে একটি শিক্ষা হয়েছে যে, ব্যাংক খাতে ইন্টারনেট নির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আবার বিকল্প ইন্টারনেট সেবা কীভাবে চালু করা যায় ভাবতে হবে।

বৈঠকে উপস্থিত একাধিক এমডি বলেন, এবারের অস্থিরতাকে কেন্দ্র করে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সুনির্দিষ্টভাবে আগামী ১১ আগস্ট অনুষ্ঠিত বৈঠকে তুলে ধরতে বলা হয়েছে। ওই বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে আলাদা ইন্টারনেট অবকাঠামো গড়ার বিষয়ে একটি উপস্থাপনা তুলে ধরা হবে। ব্যাংকের দিক থেকে সেখানে কোনো পরামর্শ থাকলে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে আলাদা ইন্টারনেট সংযোগ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে। এর মাধ্যমে বিশেষ কোনো পরিস্থিতিতে ইন্টারনেট বন্ধ হলেও যেন ব্যাংকের ইন্টারনেট সচল রেখে আমদানি, রপ্তানি, প্রবাসী রেমিট্যান্সসহ যাবতীয় সেবা সচল রাখা যায় সে চেষ্টা করা হবে।

samakal

Exit mobile version