Site icon The Bangladesh Chronicle

ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের নির্ধারিত সীমা উঠে গেল

ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের নির্ধারিত সীমা উঠে গেল

সরকার পতনের পর পুলিশ পাহারা ঢিলে থাকায় নিরাপত্তা শঙ্কায় ছিল দেশ। আবার পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে টাকা ছড়িয়ে দেশে নতুন করে অস্থিতিশীলতা তেলির নানা গুঞ্জন ছিল। এরকম অবস্থায় টাকা উত্তোলনের একটা সীমা নির্ধারণ করে আসছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে রোববার আর কোনো সীমা থাকছে না। নিজের অ্যাকাউন্টে টাকা থাকা সাপেক্ষে একজন ব্যক্তি যে কোনো পরিমাণের নগদ উত্তোলন করতে পারবেন। অবশ্য রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তি যে কোনো পরিমাণের টাকা উঠালেই তা জানানোর নির্দেশনা বহাল থাকবে।

ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট সরকার পতন হয়। এরপর ৭ আগস্ট রাতে এক নির্দেশনায় ব্যাংকগুলোকে জানানো হয়– একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। এরপর প্রতি সপ্তাহে এক লাখ টাকা করে সীমা বাড়িয়ে সর্বশেষ গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা উত্তোলনের সীমা দেওয়া হয়। আজ থেকে তা উঠে গেল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, আকস্মিক সরকার পতনের পর রাস্তায় পুলিশ ছিল না। ওই সময়ে কেউ বড় অংকের টাকা তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটনার শঙ্কা ছিল। আবার টাকা তুলে নাশকতা তৈরির চেষ্টার শঙ্কা ছিল। এসব কারণে সীমা দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, এরই মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, এমপিসহ প্রভাবশালীদের অনেকের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। আবার পুলিশি নিরাপত্তা শুরু হয়েছে। যে কারণে এখন সীমা তুলে দেওয়া হলো।

সংশ্লিষ্টরা জানান, টাকা উত্তোলনের সীমা তুলে নেওয়া হলেও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তি যে কোনো পরিমাণের টাকা তুললেই জানানোর যে নির্দেশনা তা বহাল থাকবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণাধীন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট গত ৮ আগস্ট সব ব্যাংকের প্রতিনিধিকে ডেকে নিয়ে এ নির্দেশনা স্মরণ করিয়ে দেয়। রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী বলতে– রাজনৈতিক নেতা, ব্যাংকের চেয়ারম্যান, পরিচিত ব্যবসায়ী, সচিব, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সমাজের প্রভাবশালী শ্রেণিকে বোঝানো হয়।

samakal

Exit mobile version