Site icon The Bangladesh Chronicle

ব্যাংকের টাকা পাচারের তথ্য রেকর্ডেই আছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদপ্রণোদনা দিয়ে রেমিট্যান্স বাড়ানো সম্ভব নয় বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, রেমিট্যান্স বাড়ানোর জন্য প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে ঠিকই কিন্তু তাতে আশানুরূপ রেমিট্যান্স আসবে না। রেট বাড়িয়েও রেমিট্যান্স আনা যাবে না। কারণ বিদেশে অর্থের চাহিদা না কমানো গেলে কোনোভাবেই পাচার রোধ করা যাবে না। যাদের অর্থ নেওয়ার প্রয়োজন হবে, তারা যেকোনো উপায়েই হোক অর্থ পাচার করেই যাবে।

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ গতকাল ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন। সভায় ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম উপস্থিত ছিলেন।

ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, দেশের ব্যাংকগুলো থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা চলে গেছে। এগুলো তো ব্যাগে করে নিয়ে যায়নি। একটি মাধ্যমে গেছে। কোথায় গেছে তারও রেকর্ড আছে সংস্থাগুলোর কাছে। চাইলেই এটি বের করা সম্ভব। ১০ লাখ টাকার ওপরে লেনদেন হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভারে রেকর্ড থাকে। তারা চাইলেই টাকা কোথায় গেছে, এটা জানা সম্ভব। কারণ ব্যাংকিং সিস্টেমে সব তথ্যই রেকর্ড থাকে। টাকা কোথায়, কার কাছে—সবই জানা সম্ভব।

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আরও বলেন, ‘কানাডার বেগমপাড়া, মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোমসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচারের তথ্য আমরা শুনি। যেখানে আমরা শুনি-জানি, সেখানে ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিগুলো অবশ্যই জানে কিন্তু বলে না।’

Exit mobile version