পেসাররা সুবিধা করতে পারছিলেন না। অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান তাই উইকেট পাওয়ার আশায় বল তুলে দিয়েছিলেন দুই ‘পার্ট টাইমারের’ হাতে। আগা সালমান ও সাইম আইয়ুব বল হাতে রিজওয়ানের চাওয়া শুধু পূরণই করেননি, রীতিমতো ভেলকি দেখিয়েছেন।
লক্ষ্য তাড়ায় দলের বিপদে আইয়ুব ও সালমানের ব্যাটও চওড়া হাসি হেসেছে। দুজন গড়েছেন ১৪১ রানের জুটি, যা ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কোনো দলের পঞ্চম উইকেটে সর্বোচ্চ।
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পূরণ করে (১০৯) আইয়ুব আউট হলেও ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস (৮২*) উপহার দিয়ে দায়িত্বটা শেষ করেছেন সালমান। দুজনের অলরাউন্ড নৈপুণ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকা ৩ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে পাকিস্তান।
পার্লের বোল্যান্ড পার্কে পাকিস্তান দল ২১ বছর পর খেলতে নামলেও নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অল্পতেই বেঁধে ফেলেছিল। হাইনরিখ ক্লাসেনের ৮৬ আর রিকেলটন, মার্করাম ও টনি ডি জর্জির ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংসগুলোর পর ভর করে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রান তুলেছিল প্রোটিয়ারা।
রান তাড়ায় ৬০ রানের ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়লেও পঞ্চম উইকেটে আইয়ুব ও সালমানের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় পাকিস্তান। এরপর শেষ স্পেল করতে এসে কাগিসো রাবাদা ও তাব্রেইজ শামসি দ্রুত ৩ উইকেট শিকার করলে ম্যাচ কিছুটা জমে ওঠে। কিন্তু নাসিম শাহকে নিয়ে (৯*) বাকিটা পথ অনায়াসে পাড়ি দেন সালমান। পাকিস্তান লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ৩ বল বাকি রেখে।
কেপটাউনের নিউল্যান্ডসে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ বৃহস্পতিবার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৫০ ওভারে ২৩৯/৯
(ক্লাসেন ৮৬, রিকেলটন ৩৬, মার্করাম ৩৫, ডি জর্জি ৩৩; সালমান ৪/৩২, আবরার ২/৩২, আইয়ুব ১/৩৪, আফ্রিদি ১/৪৬)।
পাকিস্তান: ৪৯.৩ ওভারে ২৪২/৭
(আইয়ুব ১০৯, সালমান ৮২*, বাবর ২৩ নাসিম ৯*; বার্টম্যান ২/৩৭, রাবাদা ২/৪৮, ইয়ানসেন ১/৪৫, শামসি ১/৫৪)।
ফল: পাকিস্তান ৩ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: আগা সালমান।
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তান ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে।
prothom alo