যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে গতকাল মঙ্গলবার আকুর এই দায় সমন্বয় করা হয়েছে। এরপর রিজার্ভ কত হয়েছে, তার সঠিক হিসাব পাওয়া যাবে আজ বুধবার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক প্রথম আলোকে বলেন, আকুর বিল পরিশোধ হয়েছে। তবে সময়ের পার্থক্যের কারণে আজ জানা যাবে রিজার্ভ কত।
এর আগে সর্বশেষ গত জুলাই-অগাস্ট মাসে আকুর দায় বাবদ ১৩১ কোটি ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ। এবার দায় কিছুটা কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ১ নভেম্বর আইএমএফ স্বীকৃত বিপিএম ৬ পদ্ধতি অনুযায়ী তাদের কাছে গ্রস রিজার্ভের স্থিতি ছিল ২০ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ২ হাজার ৬৬ কোটি ডলার। এরপর ১৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তখন আবার বিদেশি ঋণের বেশ কিছু অর্থ যোগ হয়েছে। এরপর আকু বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ এখন ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে।
তবে দেনা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় সম্প্রতি এ তালিকা থেকে বাদ পড়েছে শ্রীলঙ্কা। আকুর বাকি দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে দুই মাস পরপর লেনদেনের অর্থ পরিশোধ করতে হয়। এসব দেশের মধ্যে ভারত পরিশোধের তুলনায় অন্যান্য দেশ থেকে বেশি ডলার আয় করে। বাকি দেশগুলোর অধিকাংশকেই আয়ের চেয়ে বেশি ডলার খরচ করতে হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, আকুর সদস্যদেশগুলো থেকে যে পণ্য আমদানি হয়, তার মূল্য হিসেবে ব্যাংকগুলো প্রতি সপ্তাহেই ডলার বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়। প্রতি দুই মাস পরপর ব্যাংকগুলোর পক্ষে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ দায় পরিশোধ করে থাকে। তখন রিজার্ভ হঠাৎ কমে যায়, এরপর আবার বাড়ে।
প্রথম আলো