- খেলাধুলা প্রতিবেদক
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে দেশের ক্রিকেট অঙ্গনে চলছে ব্যাপক আলোচনা। বর্তমান কমিটির মেয়াদ অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে শেষ হতে চলায় সভাপতি পদে কে আসছেন, তা নিয়ে সবার আগ্রহ তুঙ্গে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল এবং আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে।
গত বছরের আগস্টে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে কয়েকজন পরিচালক পদত্যাগ করায় বোর্ডের কাঠামোতে পরিবর্তন আসে। এরপর থেকেই ১০ জন পরিচালক নিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে বিসিবি। আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি পদে বেশ কয়েকজনের নাম আলোচনায় এলেও অভিজ্ঞ ক্রীড়া সংগঠক মাহবুব আনাম সম্প্রতি নির্বাচন না করার ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া ফারুক আহমেদের নামও শোনা যাচ্ছে।
বিসিবির সভাপতি হতে হলে পরিচালকদের কাউন্সিলরদের ভোটে নির্বাচিত হতে হয়। বোর্ডের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, ১৭১ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৭৬ জনই ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবের প্রতিনিধি। আবার ২৫ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদে ১২ জনই আসেন ক্লাব ক্রিকেট থেকে, যা ক্লাবগুলোর প্রভাব স্পষ্ট করে তোলে। বিভাগীয় ও জেলা পর্যায় থেকে আসেন ১০ জন পরিচালক।
প্রার্থী হিসেবে তামিম ইকবালের সম্ভাবনা নিয়ে সাবেক পরিচালক সিরাজউদ্দিন আলমগীর ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘তামিমের কথা শোনা যাচ্ছে, সে ভালো ক্যান্ডিডেট। ওর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অর্জন রয়েছে। ওর ক্রিকেট মেধা ও পরিচিতি তাকে একজন শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।’ তবে ফারুক আহমেদের নির্বাচন করার সম্ভাবনা নিয়ে তিনি সংশয় প্রকাশ করেন। তার মতে, নতুন ও অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি বোর্ড গঠন হওয়া উচিত।
অন্যদিকে, আরেক সাবেক পরিচালক রফিকুল ইসলাম বাবু মনে করেন, সভাপতির আলোচনার আগে পরিচালক নির্বাচন বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘এখন যে অবস্থায় রয়েছে, সেখানে সভাপতি কে হবে তার আগে ডিরেক্টর কে হবে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। তারপর সভাপতি ব্যাপারটা আসবে।’ তিনি আরও জানান, প্রার্থীদের নামগুলো এখনো আলোচনার পর্যায়েই রয়েছে এবং যে কেউ নির্বাচন করার স্বাধীনতা রাখেন।
বোর্ডের নেতৃত্বে সাবেক ক্রিকেটারদের আসা উচিত কিনা, এমন প্রশ্নে সিরাজউদ্দিন আলমগীর জানান, প্রশাসনিক দক্ষতা থাকলে সাবেক খেলোয়াড়রাও আসতে পারেন। সব মিলিয়ে, নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই নতুন মেরুকরণ এবং সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে জল্পনা-কল্পনা বাড়ছে।