- খেলাধুলা প্রতিবেদক
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সবশেষ আসরে ওঠা ফিক্সিংয়ের অভিযোগ নিয়ে তৈরি হওয়া ধোঁয়াশা এখনই কাটছে না। টুর্নামেন্টের দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও নানা দুর্বলতা খতিয়ে দেখতে গঠিত স্বাধীন তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদন হাতে পেলেও অভিযুক্ত কোনো ক্রিকেটার, ফ্র্যাঞ্চাইজি বা প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি এই গোপনীয়তার বিষয়টি নিশ্চিত করে। আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের এই কমিটি বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের কাছে তাদের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
মূলত একাদশ বিপিএল আয়োজন করতে গিয়ে চরম বিশৃঙ্খলার মুখে পড়েছিল বিসিবি। ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক দিতে ব্যর্থ হওয়া, ভালোমানের বিদেশি ক্রিকেটারের অভাব এবং মাঠে কিছু সন্দেহজনক ঘটনা থেকে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠার পরই গত ফেব্রুয়ারিতে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন আন্তর্জাতিক আইনজীবী ড. খালেদ এইচ চৌধুরী ও সাবেক ক্রিকেটার শাকিল কাসেম।
প্রাথমিক প্রতিবেদনে কমিটি বিপিএলের ভবিষ্যৎ আয়োজনে একাধিক সংস্কারের সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে ফিক্সিং ঠেকাতে দুর্নীতি বিরোধী নজরদারি জোরদার করা, টুর্নামেন্টের কাঠামোগত সুরক্ষা বাড়ানো এবং ফ্র্যাঞ্চাইজির পরিচালনায় স্বচ্ছতা আনার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিসিবি জানিয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) নিয়ম মেনেই তারা এই গোপনীয়তা রক্ষা করছে। অভিযুক্তদের ক্ষেত্রে বিসিবির নিজস্ব সংবিধান ও আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী আইন অনুসরণ করা হবে। আগামী মাসের শেষদিকে চূড়ান্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার কথা রয়েছে, যেখানে স্পট ফিক্সিংয়ের বিস্তারিত অনুসন্ধানের পাশাপাশি বিপিএলের স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে সংস্কারের সুপারিশ থাকবে। সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বোর্ড।