ঢাকা
বিএনপির উদ্দেশ্য অসৎ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘তারা গণতন্ত্রের কথা বলে। আবার যদি আসতে পারে, গণতন্ত্র তারা (বিএনপি) গিলে খাবে। এই দেশে ওরা রক্তের বন্যা বইয়ে দেবে। কোনো ভালো মানুষ বাঁচতে পারবে না। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কোনো অস্তিত্ব তারা রাখবে না। নিশ্চিহ্ন করে দেবে মুক্তিযোদ্ধাদের, বঙ্গবন্ধুর এই বাংলাদেশকে যাঁরা বাঁচানোর স্বপ্ন দেখেন, তাঁদের। অপশক্তি সাম্প্রদায়িকতার বড় ঠিকানা বিএনপি, তারাই জঙ্গিবাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক।’
সোমবার রাজধানীর সারা দেশের প্রকৌশলীদের নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। ‘উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ’ শিরোনামে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে (আইইবি)।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের আর চার মাস আছে। আপনাদের (প্রকৌশলীদের) দাবিদাওয়ার বিষয়টি আমরা জানি। ক্রমে অবশ্যই এসব দাবিদাওয়ার বিষয়ে আমাদের চিন্তাভাবনা আছে।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘আমাদের হাতে সময় খুব কম। অনেক কাজ। হাতে মাত্র তিন থেকে সাড়ে তিন-চার মাস। এর মধ্যে অনেক দূর যেতে হবে। অনেক অসমাপ্ত কাজ আমাদের সমাপ্ত করতে হবে।’
দেশের প্রকৌশলীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বাঁচানোই এখন আমাদের করণীয়। এখন গণতন্ত্র বাঁচাতে হবে, মুক্তিযুদ্ধকে, অসাম্প্রদায়িকতাকে এবং এই দেশকে বাঁচাতে হবে। এটাই আমাদের করণীয়।’
প্রকৌশলীরা দেশের উন্নয়নে কাজ করছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আলোকিত ভবিষ্যতের লক্ষ্যে বাংলাদেশে উন্নয়নের যে অবিস্মরণীয় জোয়ার বয়ে গেছে, তার সঙ্গে প্রকৌশলীরা যুক্ত আছেন। অনেক মেধাবী প্রকৌশলী দেশে আছেন। আজ ছয় লেন, আট লেনের সড়ক হচ্ছে, ১০০ সেতু এক দিনে উদ্বোধন হচ্ছে, এগুলো প্রকৌশলীদের করা কাজ।
বিএনপিকে হুঁশিয়ার করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাজনীতি করবেন, এটা তাঁদের অধিকার। দয়া করে ষড়যন্ত্র করবেন না, সন্ত্রাস করবেন না। ২০১৩-১৪ সালের মতো বাস, মানুষ পোড়ানো—এমন রাজনীতি থেকে বিরত থাকবেন। না হলে খবর আছে।’ ‘জনগণ আপনাদের আন্দোলনে যুক্ত হয় না। কারণ, আপনারা সন্ত্রাসের পথে যাচ্ছেন’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফখরুল বলেন, ওই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জিয়াউর রহমান জানতেন না। ঠিক আছে জানেন না। তাহলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের তিনি নিরাপদে বিদেশে পাঠালেন কেন? বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিলেন কেন? ইনডেমনিটি আইন করে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী কেন করলেন?’ সাফ সাফ কথা। ইনডেমনিটি আইন যে জিয়াউর রহমানের, ফখরুল কী এটা স্বীকার করতে পারবেন?’
আইইবির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল হক অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইইবির সভাপতি আবদুস সবুর। বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, সাবেক সভাপতি নুরুল হুদা প্রমুখ। প্রকৌশলীরা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রকৌশলীদের বিবেচনা করার; প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং সেল করাসহ তাঁদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে আমলাতান্ত্রিক বিভিন্ন জটিলতা নিরসনের দাবি করেন।