Site icon The Bangladesh Chronicle

বিএনপির লবিস্ট নিয়োগ তদন্তের সক্ষমতা নেই ইসির

বিএনপির লবিস্ট নিয়োগের তদন্তের সক্ষমতা নেই ইসির – ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির লবিস্ট নিয়োগের বিষয়ে তদন্তের আইনি কাঠামো ও সক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নেই বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। তিনি বলেন, সরকারের যেসব এজেন্সি অর্থপাচার সংক্রান্ত বিষয় তদন্ত করে তারা এটি করতে পারে। তারা তদন্ত করে নির্বাচন কমিশনকে দিলে কমিশন তা পর্যালোচনা করে দেখবে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে কমিশন সভা শেষে ইসি সচিব সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম ও বেগম কবিতা খানম উপস্থিত ছিলেন। সদ্য করোনামুক্ত নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার কমিশনে আসলেও বৈঠক শুরুর আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত সাক্ষাতের সময় থাকায় এবং নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর স্ত্রী অসুস্থ থাকায় আজকের সভায় অংশ নেননি।

ইসি সচিব বলেন, বিএনপির লবিস্ট নিয়োগের বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী যে চিঠি দিয়েছেন, কমিশন বৈঠকে তা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়েছে। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো কমিশনে যে অডিট রিপোর্ট জমা দেয় তা পর্যালোচনা করে দেখা হয়। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) যে অডিট রিপোর্ট জমা দিয়েছে তাতে এমন কোনো তথ্য নেই যে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করার জন্য কোনো অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। তাছাড়া বিদেশে অর্থ ব্যয় করা হলে তা তদন্ত করার আইনি কাঠামো ও সক্ষমতা ইসির নেই। ইসির আইনি কাঠামোতে অর্থপাচার সংক্রান্ত বিষয় পড়ে না।

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ যেহেতু কমিশনের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নয়, ফলে তাদের বিষয়ে কমিশনের কিছু করণীয় নেই বলেও জানান সচিব। কমিশনের এই সিদ্ধান্ত পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

লবিস্ট নিয়োগ প্রমাণিত হলে কমিশনের এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, এই রকম বিষয় যদি প্রমাণিত হয় এবং কমিশনকে যদি জানানো হয় তাহলে তা কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেবে।

অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগও লবিস্ট নিয়োগ করেছে। বিষয়টি আপনারা খতিয়ে দেখেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে এই ধরনের কোনো অভিযোগ আসেনি। আজকের বৈঠকে যে আলোচ্য বিষয় সেখানে এই ধরনের কিছু আসেনি।

এসময় ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ূন কবীর, ইসির যুগ্ম-সচিব ও পরিচালক (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

Exit mobile version