- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৯ জুন ২০২১
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি’র বহুদলীয় গণতন্ত্র ছিলো বহুদলীয় তামাশা।
সেতুমন্ত্রী আজ সকালে তার সরকারি বাসভবনে সমসায়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় যেতে ফখরুল সাহেবরা রঙিন চশমার ফাঁক দিয়ে রঙিন খোয়াব দেখছেন। ২০০৬ সালে ১ কোটি ২৫ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে বিএনপি গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক মারতে চেয়েছিলো। দলীয় লোককে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করতে চেয়ে বিএনপি ওয়ান ইলেভেনের প্রধান কারণ সৃষ্টি করেছিল।’
‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে’ বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, তাদের এই ধরনের নির্লজ্জ বক্তব্য শুনলে জনগণ হাসে। হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে বিএনপিই গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিলো।
বিএনপি নেতাদের প্রতি প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭৮ সালে সামরিক উর্দি পরে অস্ত্রের মুখে বিচারপতি সায়েমকে সরিয়ে কে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করে রাষ্ট্রপতি হয়েছিলো? বিএনপি’র গণতন্ত্র ছিল কারফিউ গণতন্ত্র। ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটার বিহীন প্রহসনের নির্বাচন কোন গণতন্ত্র?
বিরোধী দল হিসেবে গণতন্ত্রের বিকাশে বিএনপি কি ভূমিকা রেখেছে জাতি তা জানতে চায় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সর্বশেষ নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে বিএনপি আবারও প্রমাণ করেছে, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না।
তিনি বলেন, বিচারপতিদের বয়স বাড়িয়ে বিএনপি দলীয় লোককে এম হাসানকে তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করতে চেয়েছিলো বিএনপি। সেই পরিস্থিতিই বাংলাদেশে ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টির মূল কারণ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সংবিধান সম্মতভাবে পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো যথাসময়ে নির্বাচন হবে। অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশংকা প্রকাশ করে বলেন, বিএনপি কি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন চায়? তারাতো গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের দুঃস্বপ্ন দেখেছে? আন্দোলনের নামে সহিংসতা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইলে সরকার সমুচিত জবাব দিবে রাজপথে।
সূত্র : বাসস