অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ইফতারের আগে নির্যাতনের শিকার ৬৪ জনের পরিবারের মাঝে সহায়তার অর্থ তুলে দেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। এ সময় ২০১৪ সালে নিখোঁজ পারভেজ হোসেনের মেয়ে হৃদি কাঁদতে কাঁদতে বলতে থাকে, ‘আর কত কাঁদতে হবে? আমি বাবার সঙ্গে ঈদ করতে চাই! প্লিজ, আমার বাবাকে ফিরিয়ে দিন!’ ২০১৬ সালে নিখোঁজ আনোয়ার হোসেন মাহবুবের মেয়ে রাইসা বলেন, বাবাকে ফিরে পেতে তাদের আর কতদিন অপেক্ষায় থাকতে হবে।
গত ২৮ অক্টোবর পুলিশের নির্যাতনে বিএনপি নেতা শামীম মোল্লার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। তাঁর স্ত্রী লাইলী বেগম বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর তিনজনের সংসার নিয়ে খুব কষ্টে আছেন। অনুষ্ঠানে গুম হওয়া পরিবারের পক্ষে আরও বক্তব্য দেন ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদির লুনা, চৌধুরী আলমের ছেলে আবু সাদাত শাওন চৌধুরী, সাজেদুল ইসলাম সুমনের বোন সানজিদা ইসলাম তুলি প্রমুখ।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, সরকার ভিন্নভাবে একদলীয় শাসন চালু করেছে। ভোটাধিকার ও কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তার পরও তাদের আন্দোলন চলছে ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং সার্বভৌম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য। ঢাকায় আন্দোলনের দুর্গ গড়ে তোলার তাগিদ দিয়ে নেতাকর্মীকে আবারও প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শর্টকাট পদ্ধতিতে কিছু হয় না।
মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, জয়নুল আবেদিন, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম প্রমুখ।
samakal