বাম জোটের মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

৩০ ডিসেম্বর ২০১৯

মৎস্য ভবন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বামজোটোর সংঘর্ষ। ছবি : আমাদের সময়

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে বাম গণতান্ত্রিক জোটের কালো পতাকা মিছিলে লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বাম দলের নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

আজ সোমবার দুপুরে মৎস্য ভবন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকিসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর থেকে হাইকোর্ট-মৎস্যভবন এলাকার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, বাম জোটের নেতাকর্মীদের থামাতে মৎস্য ভবন এলাকায় পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে রাখে। ব্যারিকেড ভেঙে নেতাকর্মীরা সামনে এগোতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় বাম জোটের নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়।

এ ঘটনায় পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এর আগে, সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে কালো পতাকা মিছিল শুরু করে বাম গণতান্ত্রিক জোট। মিছিলটি হাইকোর্ট মোড়ে গেলে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়। পরে ব্যারিকেড ভেঙে মিছিলটি মৎস্য ভবন এলাকায় পৌঁছালে আবারও বাধা দেয় পুলিশ।

ফের ব্যারিকেড ভেঙে নেতাকর্মীরা যেতে চাইলে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এ সময় পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করলে বাম জোটের কর্মীরাও চড়াও হয়। এ ঘটনায় প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন, যাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে ‘ভোট ডাকাতি’ অ্যাখ্যা দিয়ে ৩০ ডিসেম্বর কালো দিবস পালনের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট এ মিছিল করছিল। এই জোটে রয়েছে- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাসদ (মার্ক্সবাদী), গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন।