Site icon The Bangladesh Chronicle

বাংলাদেশ হারলে মেজাজ গরম হয়, বউ-বাচ্চারাও কাছে আসে না : পাপন


জাতীয় ক্রিকেট দল যখন কোনো ম্যাচে হারে, একজন সমর্থকের মতো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনেরও তখন ‘মেজাজ গরম হয়ে যায়’। তখন তার সামনে ভয়ে বউ-বাচ্চারাও থাকেন না। ঢাকার একটি হোটেলে বৃহস্পতিবার বিসিবির বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

বিসিবির আসন্ন নির্বাচন ও আবার দায়িত্বে আসার প্রসঙ্গে এসময় কথা বলেন পাপন। তার দাবি, সব সময় ক্রিকেট নিয়ে অনেকটাই টেনশনে থাকেন, যা তার শরীরের ওপর চাপ পড়ে। আর তাই ডাক্তার না কি তাকে ক্রিকেট থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। আগামী নির্বাচনে পাপন থাকেন কি না, তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলেননি তিনি।

সাবেক রাষ্ট্রপতি মো: জিল্লুর রহমানের ছেলে নাজমুল হাসান এমপি ২০১২ সালের অক্টোবরে সরকার মনোনয়নে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নেন। পরের বছরের অক্টোবের নির্বাচনে জয়ী হন তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। ২০১৭ সালের নির্বাচনে আবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পান তিনি। সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে এবার। তার এই দায়িত্বপালনকালে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের সাথে কিছু মতবিরোধের খবর আসে গণমাধ্যমে। অবশ্য পরে তা মিটমাট হয়েও গেছে।

আবার তিনি বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পালনের আগ্রহী কি না- এই প্রশ্নে নাজমুল হাসান বলেন, ‘ক্রিকেট অনেক সময় নিয়ে নিচ্ছে। অনেক বেশিই সময় নিচ্ছে…। আমার একটা খারাপ ব্যাপার হচ্ছে, হারলে তা মেনে নিতে পারি না। বাংলাদেশ হারলে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। বউ-বাচ্চারা কেউ তখন আমার সামনে আসে না।’

তিনি বলেন, ‘ডাক্তারের পক্ষ থেকে আমাকে বারবার বলা হয়েছে যে ক্রিকেট থেকে যত দ্রুত সম্ভব, দূরে সরে যেতে। অন্তত বোর্ডে থাকলেও এই জিনিসগুলো যেন না করি (বেশি সম্পৃক্ত হওয়া)। আপনাদের জানানোর জন্য বলে রাখলাম। অনেক বেশি সময় নিচ্ছে।’

আসন্ন নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের ১ তারিখে বোর্ড সভা আছে। যা যা নিয়মকানুন আছে, সেখানে আমরা ঘোষণা করে দেব। যত দ্রুত সম্ভব আমরা করে ফেলব (নির্বাচন), দেরি হওয়ার কারণ নেই।’

পুনরায় দায়িত্ব নেয়া প্রসঙ্গে পাপন জানান, ‘খুব কঠিন এটা বলা। ১ সেপ্টেম্বর বোর্ড সভার পর একটু ভিন্নতা পাবেন আপনারা, নির্বাচন নিয়ে। এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এবারের নির্বাচন একটু আলাদা হবে। অন্যবারের মতো নাও হতে পারে। অন্তত আমি সেটাই প্রস্তাব করব, গ্রহণ করা হবে কি না- পরের ব্যাপার।’

Exit mobile version