Site icon The Bangladesh Chronicle

বাংলাদেশ ব্যাংকে কোনো লকার থাকবে না: গভর্নর

রোহান রাজিব
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৫, ০০: ০২
> অর্থনীতি

বাংলাদেশ ব্যাংকে কোনো লকার থাকবে না: গভর্নর

রোহান রাজিব
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৫, ০০: ০২

বাংলাদেশ ব্যাংকে কোনো ব্যক্তিগত লকার থাকবে না বলে জানিয়েছেন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। গত ৩০ জুলাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় তার নিজ দপ্তরে আমার দেশকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে ব্যক্তিগত লকার নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কোনো ব্যক্তিগত লকার থাকবে না। আমরা লকার বন্ধ করে দিবো। তবে আইনগত জটিলতার কারণে এখনই করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কিছু লকার ফ্রিজ করা হয়েছে। এখন চাইলে এসব লকারের জিনিসপত্র কাউকে নিয়ে যেতে বলতে পারছি না। যখন ফ্রিজ উঠে যাবে, তখনই এটা বন্ধ করে দেওয়া হবে—নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেছে। আমাদের কথা হলো, লকার থাকবে বেসরকারি ব্যাংকে। যেটা পৃথিবীর অনেক দেশে রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কোনো লকার থাকবে না।

গত ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে রক্ষিত লকারে কর্মকর্তাদের রাখা অর্থসম্পদ সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত (ফ্রিজ) করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ব্যাংকটির গভর্নরকে অনুরোধ জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কেউ যেন লকার খুলে রক্ষিত মালামাল নিতে না পারে তা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ারও অনুরোধ জানানো হয়েছিল।

ওই সময়ের চিঠিতে বলা হয়, গত ২৬ জানুয়ারি আদালতের অনুমতি নিয়ে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দুদকের একটি দল বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে রক্ষিত সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর ‘সেফ ডিপোজিট’ তল্লাশি করে। সেখানে তিনটি সিলগালা কৌটা খুলে ৫৫ হাজার ইউরো, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, এক কেজি ৫ দশমিক ৪ গ্রাম সোনা এবং ৭০ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া যায়।

চিঠিতে আরও বলা হয়, তল্লাশিকালে রেজিস্ট্রার পরীক্ষা করে দেখা গেছে সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্য কয়েকজন কর্মকর্তাও সিলগালা করে অর্থসম্পদ রেখেছেন। এসব সিলগালা কোটায়ও অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকতে পারে বলে মনে করছে দুদক। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে অনুসন্ধান চলমান থাকার কথা চিঠিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এমন অবস্থায় এখনো কিছু কর্মকর্তাদের লকারে থাকা অর্থসম্পদ স্থগিত (ফ্রিজ) রয়েছে। তাই নতুন নীতিমালা কার্যকর করতে পারছে না বাংলাদেশ ব্যাংক।

Exit mobile version