Site icon The Bangladesh Chronicle

বাংলাদেশ ফাইনালে খেলুক তারা চায়নি : অস্কার ব্রুজন

বাংলাদেশ ফাইনালে খেলুক তারা চায়নি : অস্কার ব্রুজন – ফাইল ছবি

ম্যাচ শেষে ক্ষুদ্ধ বাংলাদেশ ফুটবলাররা ঘিরে ধরে উজবেকিস্তান রেফারি আখরোল রিসকুলায়েভকে। তাদের তোপের মুখে পড়ে মাঠ ছাড়তে ভয় পাচ্ছিলেন এই মধ্য এশিয়ান। পরে পুলিশ তাকে ব্যারিকেড দিয়ে মাঠ ছাড়া করেন। বুধবার মালে লাল-সবুজ ফুটবলারদের এই বিক্ষুব্ধ আর হতাশার মুহূর্তে আনন্দে মেতে উঠেন নেপালিরা।

কারো নাম উল্লেখ না করে অস্কার ব্রুজন বলেন, তারা চায়নি বাংলাদেশ ফাইনালে খেলুক। এটা আগস্টে এই মালে স্টেডিয়ামে হওয়া এএফসি কাপের সময়ও হয়েছে। বাজে রেফারিংয়ের শিকার করে তখন বসুন্ধরা কিংসকে শেষ ম্যাচে ড্র করে বিদায় নিতে হয়েছিল। এবার বাংলাদেশকে। তখনও বসুন্ধরা কিংস ছিল ১০ জনের। আর এবার বাংলাদেশ দল।

বাংলাদেশ কোচের মতে, জিকোকে যে লাল কার্ড দেখানো হয়েছে তা সে সরাসরি হ্যান্ডবল করেনি। জিকোর শট পরে এসে হাতে লাগে। এটা লাল কার্ড হতে পারে না। আর নেপালি ফুটবলার ডাইভ দিলেও রেফালি পেনাল্টি দেয়। যা ছিল প্রতারণা। তার মতে, অবশ্যই রেফারিদের আরো পেশাদারী হতে হবে। কোচের সাথে সুর মিলিয়ে মিডফিল্ডার রাকিব হোসেন বলেন, ‘রেফারি মোটেই ফেয়ার ছিল না।’

এরপর ম্যাচ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা দারুণ খেলেই লিড নিয়েছিলাম। ম্যাচ আমাদেরই হাতে ছিল। বিরতির পর লক্ষ্য ছিল স্কোর ২-০ করা। গোল মিসে তা হয়নি। এমনকি ১০ জন হওয়ার পরও খেলায় ছিল আমাদের দাপট। কিন্তু ওই পেনাল্টি সব শেষ করে দিয়েছে।’

এদিকে নেপালের কুয়েতি কোচ আবদুল্লাহ আলমুতাইরি বললেন, আমার মনে হয় ওটা পেনাল্টি ছিল।

লাল সবুজদের কোচ জানান, বাংলাদেশের ফুটবল যে এখনো জীবন্ত, অন্যতম সেরা দল, তা প্রমাণ করেছি। এখন সামনে এশিয়ান কাপের বাছাই পর্ব। সেখানেও ভালো করবে বাংলাদেশ।

সাফ পর্যন্তই অস্কারের সাথে চুক্তি বাফুফের। আগামী মাসেই শ্রীলঙ্কায় চার জাতি ফুটবল খেলতে যাবে। তখন লাল সবুজদের কোচ থাকা প্রসঙ্গে বলেন, আমি বাংলাদেশের ফুটবলের সাথেই আছি। তবে এখন আমি ছুটিতে যাবো।

Exit mobile version