- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৬ নভেম্বর ২০২১
চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের খেলা হয়েছে ৮৫ ওভার। টেস্ট ক্রিকেটে এক দিনে খেলা হয়ে থাকে ৯০ ওভার। আর এ কারণেই দ্বিতীয় দিনের খেলা ১৫ মিনিট আগে শুরু হবে। যার মানে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু হবে ৯ টা ৪৫ মিনিটে।
দিন শেষে তাই বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তির আবহ। টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি করেও অপরাজিত আছেন লিটন দাস। তার নামের পাশে নট আউট ১১৩। মুশফিক ৮২ রানে অপরাজিত।
আফ্রিদির বাউন্সার অতটা ওঠবে ভাবেননি সাইফ। তাকে চমকে দিয়ে বল অনেকটা লাফিয়ে ছোবল দিচ্ছিল হেলমেটের গ্রিলে। তড়িঘড়ি করে কোনোমতে মুখ বাঁচাতে যান সাইফ। ঠিক মতো খেলতে পারেননি। ক্যাচ যায় শর্ট লেগে আবিদ আলির হাতে। তিন চারে ১২ বলে ১৪ রান করেন সাইফ।
দলীয় ৩৩ রানে পড়ে দ্বিতীয় উইকেট। ঠিক ১৪ রানে তিনি বিদায় নেন হাসান আলীর বলে এলবিডব্লিউ হয়ে। সাদমান আউট হতে পারতেন প্রথম ওভারেই। শাহিনের বল যে সাদমান ইসলামের ব্যাট ছুঁয়ে গেছে টেরই পাননি পাকিস্তান দলের কেউ! আবেদন করেননি কেউ। চতুর্থ ওভারে হাসান আলির বলে ছিলেন এলবিডব্লিউ। পাকিস্তান রিভিউ নিলেই ফিরে যেতে হতো ৫ রানে। তবে এরপরও ইনিংস বড় করতে পারেননি বাঁহাতি এই ওপেনার। হাসানের বলেই ফিরেন এলবি হয়ে। ২৮ বলে সাদমান করেন ১৪ রান।
এরপর জুটি গড়েন মুমিনুল ও শান্ত। তবে আশার গল্পে আবারো হতাশ। দলীয় ৪৭ রানে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। সাজিদের প্রথম ওভারে মুমিনুলের বিপক্ষে এলবিডব্লিউর রিভিউ নিয়ে ব্যর্থ হয় পাকিস্তান। অফ স্পিনারের পরের ওভার মেডেন খেলেন মুমিনুল। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান পরের ওভারের প্রথম বলেই ধরা পড়েন কিপারের গ্লাভসে।
অফ স্টাম্পের বাইরের বল বেরিয়ে যাচ্ছিল আরো। না খেলে অনায়াসে ছেড়ে দিতে পারতেন তিনি। তা না করে অহেতুক পা বাড়িয়ে ডিফেন্স করতে গিয়ে ক্যাচ দেন মোহাম্মদ রিজওয়ানের গ্লাভসে। আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নিয়ে সফল হয় পাকিস্তান। ১৯ বলে ৪ রান করে ফিরে যান মুমিনুল।
প্রথম সেশনের চতুর্থ উইকেট শান্তর বাজে শটে। অধিনায়কের বিদায়ের পরের ওভারে ফিরে যান বাহাতি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। ফাহিম আশরাফের অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট বলে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ মুঠোয় জমান সাজিদ খান। ৩৭ বলে ২ চারে ১৪ রান করেন শান্ত। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানই আউট হন একই রানে।
পঞ্চম উইকেটে দারুণ সফল লিটন ও মুশফিক। সাবলিল ব্যাটিংয়ে পার করে দেন দ্বিতীয় সেশন। এমনকি তৃতীয় সেশনও। ১৯৯ বলে এরই মধ্যে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম শতকের দেখা পান লিটন দাস। সেঞ্চুরির ইনিংসে তিনি হাঁকান ১০টি চার ও একটি ছক্কা।
এই জুটিতে এসেছে ২০৪ রান। বল খরচ হয়েছে ৪১৩। পঞ্চম উইকেটে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এটি বাংলাদেশের প্রথম দুইশ ছাড়ানো জুটি। আগেরটি ছিল ২০১১ সালে। ঢাকায় সেবার সাকিব ও শাহরিয়ার নাফিস করেছিলেন ১৮০ রান। এই প্রথম বাংলাদেশের হয়ে ২০০ রানের জুটিতে সফল মুশফিক-লিটন। টেস্টে বাংলাদেশের ১২টি ২০০ ছাড়ানো জুটি আছে। এর মধ্যে ছয় জুটিতেই আছেন মুশফিক।
দিন শেষে লিটন ২২৫ বলে অপরাজিত আছেন ১১৩ রানে। তার ইনিংসে আছে ১১টি চার ও একটি ছক্কার মার। টেস্ট ক্যারিয়ারর ২৪তম ফিফটি করে অপরাজিত আছেন মুশফিকও। ১৯০ বলে তার রান ৮২। তার ইনিংসে আছে ১০টি বাউন্ডারি। নেই কোনো ছক্কা। বল হাতে পাকিস্তানের হয়ে একটি করে উইকেট নেন শাহিন শাহ, হাসান আলী, ফাহিম ও সাজিদ খান।