Site icon The Bangladesh Chronicle

বাংলাদেশ এসে বাড়াবাড়ি করার কোনো সুযোগ নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

 

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৯ জানুয়ারি ২০২৩

বক্তব্য রাখছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশের অর্জন ও ইতিহাস সবাইকে জানানোর সময় হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেকে আসে ওকালতি করতে। গণতন্ত্রের জন্য, মানবাধিকারের জন্য ওকালতি করে। তাদের বোঝাতে হবে, আমাদের দেশটা তৈরি হয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের জন্য। অন্যদের এখানে এসে বাড়াবাড়ি করার কোনো সুযোগ নেই। অনেকে হয়তো এটা ভুলে গেছেন, তাদের এটা স্মরণ করা দরকার। মুসলিম প্রধান দেশগুলোতে এ ধরনের অর্জন বিনা বুলেটে কোথাও পাবেন না।’

আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক অর্জন–সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি একথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারতের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা বড় চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এরা শক্তিশালী দেশ। আমাকে এমনভাবে চলতে হবে, যাতে করে তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক উন্নত হয়।’

যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী এবং রপ্তানি বাজার। ওই দেশের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক রাখতে হবে। তারা বন্ধু না হলে কিছু বলতো না বরং আক্রমণ করতো। বন্ধু বলেই অনেক সুপারিশ দেয়। ভালো সুপারিশ আমরা গ্রহণ করবো। সবকিছুতে আমরা ভালো হয়ে গেছি, বিষয়টি সেরকমও নয়।’

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের সম্পর্কে সোনালি অধ্যায় চলছে। ভারত এ বছর জি-২০ এর প্রেসিডেন্ট হয়েছে এবং দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শুধু বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে অতিথি হিসেবে।’

চীনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চীন আমাদের বড় উন্নয়ন অংশীদার এবং তার সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য অনেক বেশি।’

‘ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা সহজ নয়’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বড় দেশগুলো ছাড়াও অনেক দেশ আছে, যাদের সঙ্গে বাংলাদেশ সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলে। রাশিয়া, সৌদি আরব, আসিয়ান জোট, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ অন্য অনেক দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বার্থ রয়েছে এবং আমরা তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলি।’

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ। আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান লিটু ও অধ্যাপক ড. উত্তম কুমার বড়ুয়া। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. এ এস এম আলী আশরাফ।

 

 

Exit mobile version