Site icon The Bangladesh Chronicle

বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন নিউজিল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক

ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লকি ফার্গুসন। – ছবি : ইউএনবি

নিউজিল্যান্ডের মতো দল যতবারই বাংলাদেশ সফর করে, ততবারই স্থানীয় পরিস্থিতি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। গত সপ্তাহের শেষের দিকে ঢাকায় এসেছেন নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াররা। তারা নিজ দেশে যেভাবে অভ্যস্ত তার থেকে ভিন্ন কিছু প্রত্যাশা করছেন।

তবে, ব্ল্যাকক্যাপসের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লকি ফার্গুসন পরিস্থিতি নিয়ে সামান্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একই সাথে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যে চ্যালেঞ্জটি সামনে এসেছে, তা গ্রহণ করতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছিলেন তিনি।

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক আজ ঢাকার মিরপুরে প্রথম গণমাধ্যমে কথা বলেন।3 ফার্গুসন মনে করেন, এর আগে বাংলাদেশে খেলেছেন এমন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা পরিস্থিতি এবং অন্যান্য সূক্ষ্ম বিষয়ে মূল্যবান ধারণা দেবেন। নিউজিল্যান্ডের কোচিং স্টাফের অংশ এবং বাংলাদেশের প্রাক্তন কোচ শেন জার্গেনসেন তাদের সঙ্গে থাকায় সুবিধা রয়েছে।

ফার্গুসন জোর দিয়ে বলেন, ‘পিচ কীভাবে কাজ করে তা বোঝার ক্ষেত্রে আমরা অবশ্যই জার্গেনসেন এবং আমাদের কয়েকজন খেলোয়াড়ের উপর নির্ভর করব, যারা কয়েক বছর আগে এখানে ছিল।’ ‘ইংল্যান্ডে (তাদের শেষ সিরিজে) যা অভিজ্ঞতা হয়েছিল তার থেকে পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। আমি উপমহাদেশে খেলা উপভোগ করি।’

একইভাবে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন নিউজিল্যান্ড স্কোয়াডের বেশ কয়েকজন সদস্য।

বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণ এই সিরিজে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে অভিমত দিয়েছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। এটি বাংলাদেশের ভূখণ্ডে নতুনদের গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে।

তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ নিঃসন্দেহে তাদের ঘরের মাঠে শক্তিশালী। আশা করি, বৃষ্টি থামবে। আগামীকালের পাশাপাশি সিরিজ জুড়ে পিচের পরিস্থিতি কেমন হয় তা দেখতে আমি আগ্রহী।’

তার মতে, এই সিরিজে নিউজিল্যান্ডের স্পিনারদের উইকেট শিকারীর ভূমিকা নিতে হতে পারে। তবে, তিনি পেসারদের সম্ভাব্য অবদানকে উড়িয়ে দেননি।

তিনি আরো বলেন, ‘ইংল্যান্ড সফরের সময় আমি এখান থেকে কিছু হাইলাইট দেখেছি এবং পেসারদের জন্য কিছু অনুকূল পরিস্থিতি ছিল। তখনই পরিবর্তনগুলো আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। অত্যন্ত আর্দ্রতার কারণে বলের সুইং করার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা আমাদের সুইং বোলিংয়ের জন্য পরিচিত। আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমরা আগামীকাল এটিকে কাজে লাগাতে পারব।’

বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড উভয়ের জন্য এই সিরিজ চলতি বছরের শেষের দিকে আসন্ন বিশ্বকাপের আগে তাদের স্কোয়াডগুলোকে সুন্দর করার একটি চূড়ান্ত সুযোগ এনে দেয়। নিউজিল্যান্ড দলের কিছু খেলোয়াড় বিশ্বকাপ দলে নেই। তবুও, ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক সিরিজটিকে সেটআপের মধ্যে তাদের অবস্থান দৃঢ় করার সুযোগ হিসেবে দেখেন।

কিউইদের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক আরও বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যথেষ্ট আবর্তন হয়েছে, তাদের জন্য আরও সুযোগ তৈরি করেছে। নিঃসন্দেহে, এই সপ্তাহের সুযোগটি আন্তরিকভাবে কাজে লাগাবে তারা।’

সূত্র : ইউএনবি

Exit mobile version