Site icon The Bangladesh Chronicle

বাঁশ


বাঙালি জীবনে ইদানীংকালে বাঁশের গুরুত্ব কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে তা নিয়ে যদি আপনার মনে কোনো চিন্তার উদ্রেক হয় অথবা আপনি যদি বাঙালি জীবনে বাঁশের গুরুত্ব নিয়ে কোনো গবেষণাকর্ম শুরু করতে চান তবে কোন জায়গা থেকে শুরু করবেন তা নিয়ে বেশ ঝামেলায় পড়তে হবে। আপনি কি লগি-বৈঠা এবং নৌকার ছই বা ছাদ হিসেবে বাঁশের ঐতিহাসিক ব্যবহার নিয়ে গবেষণা করবেন, নাকি ‘ওরে বাঁশ দে কিংবা বাঁশ ঢুকায়ে দে’ ইত্যাদি গালিলাগাজ, হঠাৎ করে কেন অতি মাত্রায় ব্যবহৃত হচ্ছে তা নিয়ে গবেষণা করবেন। বাঁশ নিয়ে আপনি যতীন্দ্রমোহন বাগচীর কাজলা দিদি কবিতার মতো অমর একখানা কবিতাও লিখতে পারেন। আবার বাঙালি মুসলমানের কবর তৈরির ক্ষেত্রে বাঁশ কেন অপরিহার্য তা নিয়েও গবেষণা করতে পারেন।

বাঁশ নিয়ে চিন্তাভাবনার শুরুর দিকে আপনার মনে দুটো স্মৃতি অবশ্যই জেগে উঠবে। প্রথমটি হলো- একটি তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে একটি বানরের উপরে ওঠা এবং পর মুহূর্তে তৈলাক্ত বাঁশের পিচ্ছিলতার কারণে নেমে আসাসংক্রান্ত শৈশবকালের সেই জটিল অঙ্কের কথা। আমরা সবাই কমবেশি অঙ্কটি সমাধানের চেষ্টা করেছি; কিন্তু কেউ একটিবারের জন্যও প্রশ্ন করিনি যে, বাঁশে কে তেল মাখাবে এবং বাঁশটির উচ্চতা কত। বাঁশটিতে তেল মেখে কেন একটি নিরীহ বানরকে সেই পিচ্ছিল বাঁশ বেয়ে উপরে উঠতে হবে এমন একটি প্রশ্ন যেমন করিনি, তেমনি কী ধরনের বাঁশ-বাঁশের কঞ্চি থাকবে নাকি থাকবে না অথবা বাঁশটি কি মোটা নাকি চিকন, কাঁচা নাকি শুকনো ইত্যাদি প্রশ্নও শৈশবকালে মাথায় ঢোকেনি। সুতরাং পরিণত বয়সে যখন আপনি বাঁশ নিয়ে গবেষণা করবেন তখন অবশ্যই আপনাকে চিন্তা করতে হবে যে, দুনিয়ার অন্য কোনো দেশের শিশুদের তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে বানরের ওঠানামা সংক্রান্ত অঙ্কের তালিম দেয়া না হলেও কেন বাঙালি শিশুর মস্তিষ্কে এ ধরনের জটিল গণনার অঙ্ক প্রবিষ্ট করানো হলো!

আপনি যদি উল্লেখিত বাঁশসংক্রান্ত অঙ্কটিকে আপনার গবেষণার বিষয়বস্তু করেন তবে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন যে, আমাদের সমাজ-সংসার, পরিবেশ-প্রতিবেশ, রাজনীতি, অর্থনীতি, ক‚টনীতি, লড়াই, সংগ্রাম ইত্যাদি সব কিছুই তৈলাক্ত বাঁশের মতো। জীবনের উত্থান এবং পতনের যত সব রাস্তা বাঙালির রয়েছে সবখানেই এমনভাবে তেল ঢেলে পিচ্ছিল করে দেয়া হয়েছে যে, নির্বোধ বানর-স্বভাবের না হলে আপনি সেখানে চলাফেলা করতে পারবেন না। আপনি যদি আমাদের হাল আমলের উন্নয়নের মহাসড়ক দিয়ে ঢাকা-গাজীপুর যাতায়াত করেন অথবা ডিজিটাল পদ্ধতিতে টিকিট কেটে এনালগ ট্রেনে করে কোথাও ভ্রমণ করেন তবে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন চার্লস ডারউইনের বানরতত্তে¡র বানরগুলো কিভাবে সংগ্রাম করতে করতে লেজ হারিয়েছে এবং মানুষে রূপান্তরিত হয়েছে। অর্থাৎ শৈশবে যে বানরটিকে আপনি তৈলাক্ত বাঁশে উঠেয়েছেন সেটিকে যদি এখন ঢাকা-গাজীপুরের বাস অথবা ঢাকা-সিলেটের ট্রেনে উঠিয়ে দেন তবে সেই অবোধ জানোয়ারটি পথের ক্লান্তি এবং চরম ভোগান্তির কবলে পড়ে হেগে-মুতে একাকার করে প্রথমে লেজ হারাবে তারপর মানুষে রূপান্তরিত হয়ে যাবে!

বাঁশ নিয়ে যদি আপনি গবেষণা শুরু করেন, তবে দ্বিতীয় যে স্মৃতিটি আপনাকে নস্টালজিয়ায় ফেলে দেবে সেটি হলো, কাজলা দিদি কবিতার প্রথম লাইনটি, যেখানে বলা হয়েছে- ‘বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই’। এই কবিতা আমরা সবাই কমবেশি পড়েছি এবং কবিতার মূল চরিত্র হিসেবে কাজলা দিদিকে কল্পনা করে অশ্রুসিক্ত হয়েছি। কিন্তু আমরা বাঁশ বাগান এবং সেই বাগানের ঠিক মাথার ওপরে মধ্যরাতের পূর্ণিমার উজ্জ্বলতম স্নিগ্ধ জোছনা এবং গোল চাঁদ নিয়ে খুব একটা ভেবেছি বলে মনে পড়ে না। অথবা আমরা একটি বারের জন্যও কেন ভাবেনি যে, কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচী তার অমর সৃষ্টি কাজলা দিদির স্মৃতিকে জাগরূক করার জন্য মধ্যরাতের ভরা পূর্ণিমার গোল চাঁদটিকে কেন ঠিক বাঁশ বাগানের মাথার ওপর বসিয়ে দিলেন। তিনি তো ইচ্ছে করলে ছন্দ মেলানোর জন্য গাব বাগানের কথাও বলতে পারতেন। এ ছাড়া আম বাগান জাম বাগান ছাড়াও গ্রামবাংলার প্রায় সব বাড়িতে তেঁতুল, তাল, খেজুর, কদম, লেবু ইত্যাদি বৃক্ষ ছিল। কবি ওসব বাদ দিয়ে কেন বাঁশ বাগানকে বেছে নিলেন তা নিয়ে যদি এখনো গবেষণা শুরু না করেন তবে আপনার দ্বারা অনেক কিছু সম্ভব হলেও বাঁশ নিয়ে গবেষণা অসম্ভব!

বাঁশ বাগানের মাথার ওপর চাঁদ থাকলে জোছনা কিভাবে আলোর বিচ্ছুরণ ঘটায় তা যদি আপনি লক্ষ করেন তবে দেখবেন যে, অসংখ্য বাঁশপাতা এবং বাঁশের ছোটবড় কঞ্চি ভেদ করে চাঁদের আলো মাটিতে কোনো প্রতিবিম্ব সৃষ্টি করতে পারে না। বাঁশ বাগানে পড়ে থাকা বেশুমার বাঁশপাতা এবং সেসব পাতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা রাত বিরেতের নানা রকম কীটপ্রতঙ্গ যেভাবে চাঁদের আলোতে ছোটাছুটি করে তাতে ওখানে গিয়ে চাঁদের আলো উপভোগের চেয়ে ছনক্ষেতে চিত হয়ে শুয়ে অথবা তালগাছের নিচে হেলান দিয়ে জোছনা উপভোগ কেন নিরাপদ তাও কিন্তু গবেষণার বিষয়বস্তু হতে পারে। এ ক্ষেত্রে আরো একটি বিষয় ধর্তব্যের মধ্যে আনতে হবে যে, কবি বাঁশ বাগানের মাথার ওপর যে চাঁদ উঠেছে সে কথা একটি শিশুর মুখ থেকে বের করিয়েছেন। শিশুটি তার মাকে বাঁশ, চাঁদ এবং নিশুতি রাতের পরিবেশের সাথে তাল রেখে তার প্রিয় বোন কাজলা দিদির মৃত্যুর প্রসঙ্গ তুলে কেন তার মায়ের অপত্য স্নেহ পাওয়ার জন্য এমন একটি উদাহরণ দিলো তা নিয়েও চিন্তাভাবনার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।

আপনি যদি বাঙালির শৈশব ও কৈশরের উল্লিখিত শিক্ষাগুলো মাথায় রেখে বাঙালি জীবনে বাঁশের গুরুত্ব নিয়ে গবেষণা করেন তবে গাঙ্গেয় ব-দ্বীপের সর্বত্র বাঁশের বহুমুখী ব্যবহারের বহর আপনি গুনে শেষ করতে পারবেন না। প্রযুক্তির কল্যাণে বাংলাদেশে এখন ডিজিটাল সন্ত্রাসী বা সাইবার সন্ত্রাসীদের সংখ্যা হু-হু করে বাড়ছে। অস্ত্র হিসেবে পিস্তল, গোলাবারুদ ইত্যাদির ব্যবহার বাড়লেও অস্ত্র হিসেবে সতের কোটি বাঙালির কাছে বাঁশ যতটা জনপ্রিয় তার কোটি ভাগের এক ভাগ জনপ্রিয়তা নেই- পশ্চিমা দুনিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় অস্ত্র একে-৪৭-এর। আমাদের দেশে বাঁশ দিয়ে ঢাল-সরকি, ল্যাজা, লাঠি, লগি, তীর-ধনুক ইত্যাদি হাজারো মহাভারত যুগের যেসব অস্ত্র তৈরি করে মানুষ যে তাণ্ডব চালায় সেই তাণ্ডবের সামনে দাঁড়ানোর মতো ডিজিটাল অস্ত্র এ দেশে এখনো দেখা যায় না। বরং বড় বড় বাঁশ হাতে নিয়ে কেউ যদি আগ্নেয়াস্ত্রধারী কোনো লোককে তাড়া করে তবে তাড়া করা ব্যক্তি মুহূর্তের মধ্যে বাবার নাম ভুলে যাবে এবং বন্দুক গুলি ইত্যাদি ফেলে ভোঁ দৌড় শুরু করে দেবে। আমাদের দেশে বাঁশ দিয়ে হাজারো রকমের মরণফাঁদ তৈরি করা হয় এবং সে সব ফাঁদে বাঘ-হাতি-শুয়োর-সজারু থেকে শুরু করে বাইলা ভেটকি চিংড়িসহ চুনোপুঁটি মাছও আটকা পড়ে যায়। বাঁশের তৈরি ভারার সাহায্যে গ্রামবাংলায় যেভাবে ফেরিওয়ালারা ফেরি করে বেড়ায় অথবা শীতের মৌসুমে খেজুর রসের হাঁড়ি বহন করা হয় অমনটি সৌরজগতের কোনো গ্রহে দেখা যাবে বলে মনে হয় না।

মানুষকে মৃদ্যুভাবে পেটানোর জন্য বাঁশের লাঠি অথবা কঞ্চি যতটা কার্যকর তা অন্য কোনো উদ্ভিদজাত বস্তু দ্বারা সম্ভব নয়। একইভাবে গরু-মহিষকে বেদমভাবে প্রহার করার জন্য বাঁশের তৈরি আইল্যা নড়ির গুরুত্বের কথা বলে শেষ করা যাবে না। বাঁশ দিয়ে ঘরবাড়ি তৈরি, সাঁকো নির্মাণ এবং কৃষিকাজের উপকরণ যথা জোয়াল, মাথাইল, গরুর মুখের ঠোনা থেকে শুরু করে ধামা-কুলা-সাজি, ডালার ব্যবহার আবহমান বাংলার জীবন ও জীবিকার সাথে যেভাবে মিশে আছে ওভাবে এখন পর্যন্ত ব্যাংক ডাকাতি, ডিজিটাল কারচুপি, টাকাপাচার, ঘুষ, দুর্নীতি, মদ-জুয়া-নারীপাচার এবং রাতের বেলায় ভোট চুরি ইত্যাদি এখন পর্যন্ত সতেরো কোটি বাঙালির জীবন-জীবিকা ও রক্তের সাথে বাঁশের মতো সম্পর্ক তৈরি করতে পারেনি।

আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশে লোহার রডের পরিবর্তে বাঁশের যে নতুন ব্যবহার শুরু হয়েছে তা হয়তো অনাগত দিনে বিশ্ব সভ্যতায় নতুন রেকর্ড স্থাপন করবে। রাস্তা নির্মাণ-সেতু নির্মাণ এমনকি বিল্ডিং নির্মাণে যেখানে লোহার রড ব্যবহার হয় সেসব ক্ষেত্রে কিছু বাঙালি বিজ্ঞানী ও সমাজ সংস্কারক কাম লগি-বৈঠার ভক্তকুল যেভাবে বাঁশ ব্যবহার শুরু করে দিয়েছেন তা শেষ পর্যন্ত কত বড় নবযুগ সৃষ্টি করবে তা নিয়ে গবেষণা করাও জরুরি হয়ে পড়েছে।

বাঁশের তৈরি ভাস্কর্য, খেলনা ইত্যাদির কদর যেমন বাংলাদেশে রয়েছে তদ্রুপ বাঁশের তৈরি বস্ত্র ও অস্ত্র সারা দুনিয়ায় ব্যাপকভাবে সমাদৃত। বাঁশের বাঁশির মিষ্টি সুরের সাথে যেমন অন্য কোনো বাঁশির তুলনা চলে না তদ্রুপ সারা দুনিয়ায় শিশুদের সুন্নতে খাতনার কাজে ধারালো অস্ত্র হিসেবে বাঁশের চটার ব্যবহার ডাক্তারদের ব্যবহৃত ছুরি-কাঁচিকে রীতিমতো অবমাননাকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। বাঁশের তৈরি তলোয়ার যা কিনা জাপানে সিনাই নামে পরিচিত তা দিয়ে কেন্ডো নামক অত্যাধুনিক মার্শাল আর্ট শিখে জাপানি তরুণ-তরুণীরা এতটা ভয়ঙ্কর যোদ্ধা হয়ে ওঠে যে, তাদের সামনে অন্য কোনো ধাতুর তৈরি তলোয়ার নিয়ে বিরোধী কোনো যোদ্ধা দাঁড়াতেই সাহস করে না। অন্য দিকে বাঁশের এক মাথা চোখা এবং ধারালো বানিয়ে দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়–তে সিলামবাম নামক একধরনের মার্শাল আর্ট শেখানো হয় এবং এই মার্শাল আর্টে প্রশিক্ষিতদের হাতে বাঁশ যে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে তা কেবল ভুক্তভোগীরাই বলতে পারবে। আধুনিক কালে যুদ্ধের ময়দানে কিংবা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যে রাসায়নিক দ্রব্যটি প্রধানতম ভীতিকর এবং ধ্বংসাত্মক কাজে ব্যবহৃত হয় সেটি হলো গান পাউডার। আপনি শুনলে অবাক হবেন যে, মধ্যযুগে চীনারা সর্বপ্রথম বাঁশ থেকে গান পাউডার আবিষ্কার করে বিশ্বের বহু দেশের মানচিত্র উলট-পালট করে দিয়েছিল।

বাঁশ নিয়ে আপনি যদি উল্লিখিত উপায়ে গবেষণা শুরু করেন তবে দুই-চার জনমেও তা শেষ করতে পারবেন না। কাজেই গবেষণা করতে করতে আপনি ক্রমেই বাঁশের মাহাত্ম্যে মুগ্ধ হবেন এবং জনারণ্য ত্যাগ করে বাঁশ বাগানে আশ্রম বানাবেন। এরপর কোনো এক রাতে যখন পূর্ণিমার চাঁদ মধ্য গগনে থাকবে তখন হঠাৎ কারো ডাকে আপনার ঘুম ভেঙে যাবে। নির্জন বাঁশ বাগানের আশ্রমে আধো আধো ঘুমভরা চোখে জানালার ফাঁক দিয়ে আপনি যখন চাঁদ দেখার চেষ্টা করবেন অমনি বাঁশেরা সব সমস্বরে আপনাকে পিতা বলে ডেকে উঠবে। এমন অদ্ভুত ভুতুড়ে ঘটনায় আপনি প্রথমে হতভম্ব হবেন বটে, কিন্তু বাঁশ বাগানের ছোট বড় বাঁশ এবং কঞ্চিদের কথা শোনার পর আপনার মনে হবে সত্যিই ওরা আপনার সাথে কথা বলছে। ওরা বলতে থাকবে- প্রিয় পিতা! তুমি আমাদের নিয়ে গবেষণা করতে করতে আজ বাঁশ সম্পর্কে এতটাই সিদ্ধিলাভ করছ যে, তোমার সুপ্ত বিবেক আমাদের জন্য এই গভীর রজনীতে জাগ্রত হয়েছে। ফলে তুমি আমাদের কথা শুনতে পাচ্ছ। সারা দুনিয়ার বাঁশ সম্প্রদায়ের মধ্যে বাংলাদেশের বাঁশেরা হলো সবচেয়ে দুর্ভাগা। কারণ পৃথিবীর কোনো দেশে আমাদের জ্ঞাতিগোষ্ঠীরা আমাদের মতো করে এভাবে মানবসেবা করে না। কিন্তু তার পরও আমরা কারো কাছ থেকে কোনো প্রশংসা কিংবা সহানুভূতি পাই না। বরং আমাদের নাম করে তোমার দেশের মানুষ যেভাবে গালাগাল দেয় তা শুনে মনে হয়, আমরা কোনো অভিশপ্ত এবং বিষাক্ত উদ্ভিদ। অথচ তুমি জানো আমাদের পাতা থেকে শুরু করে শিকড় পর্যন্ত সবকিছুরই রয়েছে ঔষধি গুণাবলি। তার পরও তোমরা যে ভাষায় বাঁশকে তোমাদের স্বজাতির বিভিন্ন অঙ্গে যে নিষ্ঠুরতার সাথে প্রবিষ্ট করার জন্য দিনরাত ধান্ধা করো তা দেখে লজ্জা অপমান ভয় এবং ঘৃণায় একাকার হয়ে আমরা গভীর রাতে সমস্বরে কাঁদতে থাকি এবং বিধাতার কাছে অসভ্য বাঁশ যোদ্ধাদের কবল থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করতে থাকি।

লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য

Exit mobile version