- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২২:০০
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের উত্তাপে খানিক যেন ঢাকা পড়েছে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচ নিয়ে আলোচনা। অথচ আগামীকাল রোববার বাচাঁ-মরার লড়াইয়ে আফগানদের বিপক্ষে মাঠে নামবে টাইগাররা। জয় ছাড়া যেখানে বিকল্প নেই, এশিয়া কাপে টিকে থাকতে হলে জিততেই হবে টাইগারদের। অন্যথায় নিশ্চিতভাবেই ধরতে হবে বাড়ির পথ।
রোববার (০২ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টা ৩০ মিনিটে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ খেলতে গতকাল শ্রীলঙ্কা থেকে পাকিস্তানে পাড়ি দিয়েছেন সাকিব-মুশফিকরা। সেখানে আগে থেকেই টাইগারদের অপেক্ষায় ছিলেন রশিদ খানের দল।
এই ম্যাচ দিয়েই এবারের এশিয়া কাপ শুরু করবে আফগানিস্তান। যদিও বাংলাদেশ ইতোমধ্যে খেলে ফেলেছে এক ম্যাচ। লঙ্কানদের বিপক্ষে সেই ম্যাচ টাইগাররা হেরে গেছে ৫ উইকেটে। প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ায় যে করেই হোক আফগানদের বিপক্ষে জিততে হবে বাংলাদেশকে। শুধু জিতলেই হবে না, তাকিয়ে থাকতে হবে শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান ম্যাচের দিকেও।
বাংলাদেশকে যেনতেন ভাবে জিতলেই হবে না, আফগানিস্তানকে হারাতে হবে বড় ব্যাবধানে। এরপর তাকিয়ে থাকতে হবে আফগানিস্তানের পরবর্তী ম্যাচের দিকে। সেই ম্যাচে শ্রীলঙ্কা আফগানিস্তানকে হারালে কোনো চিন্তা ছাড়াই সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ। অন্যথায় আফগানিস্তান জিতে গেলে পয়েন্টের গ্যাড়াকলে পড়তে হবে টাইগারদের।
আফগানিস্তান বরাবরই বাংলাদেশের জন্য ভয়ের কারণ। সম্প্রতি টাইগারদের বিপক্ষে তাদের সাফল্য চমকপ্রদ। মাস খানেক আগেই টাইগারদের বাংলাদেশে এসেই সিরিজ হারিয়ে গেছে রশিদ খানরা। যেখানে বেশ অসহায় আত্মসমর্পণ করে তামিম বাহিনী। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ ৪ ওয়ানডের ৩টিতেই জিতেছে আফগানিস্তান।
যদিও পরিসংখ্যানের চোখে এখনো এগিয়ে বাংলাদেশ। যদিও তা সমানে-সমানে বলা যায়। ১৪ দেখায় ৮ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ, আফগানিস্তানের জয় ৬ ম্যাচে। এশিয়া কাপেও এখন পর্যন্ত ৩ বার মুখোমুখি হয়েছে দু‘দল। যেখানে বাংলাদেশের ২ জয়ের বিপরীতে ১ জয় আছে আফগানিস্তানের।
দু‘দলের দেখায় সর্বোচ্চ রান মুশফিকুর রহিমের, ১২ ইনিংসে ৪৩২ রান করেছেন তিনি। সেরা পাঁচের বাকি চারজনও বাংলাদেশের। লিটন দাস ৩৭৮, সাকিব আল হাসান ৩৬৭, তামিম ইকবাল ৩১৭ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেন ৩১৩ রান। আফগানদের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৯৪ হাশমতুল্লাহ শাহিদির। রাহমানুল্লাহ গুরবাজ করেন ২৯৩ রান।
সর্বোচ্চ উইকেট সাকিব আল হাসানের, ১৩ ইনিংসে ২৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ১৯ উইকেট নিয়ে রশিদ খান দুইয়ে ও ১৭ উইকেট নিয়ে তিনে আছেন মোহাম্মদ নাবি। তাসকিন আহমেদ নিয়েছেন ১৪ উইকেট।