Site icon The Bangladesh Chronicle

বর্তমান সরকারের অধীনে হবে না আগামী নির্বাচন

জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ তিন দাবিতে শুক্রবার বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে বিশাল ছাত্র-যুব সমাবেশ করেছে চরমোনাইয়ের পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলনের ছাত্র ও যুব সংগঠন। আগামী ৩ নভেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছেন দিয়েছেন দলের আমির তথা চরমোইয়ের পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। সমাবেশে দলটির নেতারা বলেছেন, বর্তমান সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন হবে না।

ইসলামী যুব আন্দোলন এবং ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের এ সমাবেশে যুবদল সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু এবং ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল বক্তৃতা করেন। সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গে যোগ দিতে তারা চরমোনাইয়ের পীরের দলের প্রতি আহ্বান জানান।

দক্ষিণ গেটে সাধারণত আওয়ামী লীগ সভা-সমাবেশে করে। পূজার কারণে সোহরওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি না পেয়ে সেখানে ছাত্র-যুব সমাবেশ করে ইসলামী আন্দোলন। শুক্রবার সকাল থেকেই সমাবেশস্থলে জমায়েত হন দলের নেতাকর্মীরা। ট্রাক, পিকআপ, বাসে করা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তারা আসেন। অন্যান্য বিরোধী দলের কর্মসূচি পুলিশের বাধার অভিযোগ থাকলেও ইসলামী আন্দোলন নির্বিঘ্নে সমাবেশ করছে। বিকেল ৪টার দিকে জিপিও থেকে মহানগর নাট্যমঞ্চ পর্যন্ত ছিল সমাবেশের বিস্তৃতি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চরমোনাইয়ের পীর সমাবেশে বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশকে মানুষের দেশ বলা যায় না। যারা রাতের ভোটে অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে, তারা মানুষকে মানুষ বলে গণ্য করছে না।’

‘দিল্লী আছে, আমরাও আছি’- আগামী নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের এই বক্তব্যের সূত্রে রেজাউল করীম প্রশ্ন রাখেন, ওবায়দুল কাদেরের বাংলাদেশের স্বাধীনতা স্বীকার করেন? সরকার উন্নয়নের কথা বলে। তাহলে সঠিক নির্বাচন আয়োজনে ভয় কেন? মানুষের কষ্টার্জিত টাকায় উন্নয়ন হয়েছে, সরকারের বাবার টাকায় নয়।

সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবিত আয়োজিত সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, ‘৩ নভেম্বর সরকারের মেয়াদ শেষ। পদত্যাগ না করলে কঠিনতর আন্দোলন হবে।’

দলের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচন ছিল প্রহাসনের। ২০১৮ সালে নির্বাচন ছিল ভোট ডাকাতির। ফিলিস্তিনিদের মতো অধিকার আদায়ে বুলেটের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। আগামী নির্বাচন এই সরকারের অধীনে হবে না। প্রহসনের নির্বাচন হতে দেব না। দিল্লীর গোলামি মানব না।’

যুব আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদের সঞ্চালনায় সাবেশে বক্তৃতা করেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ইউনুস আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল হুদা ফয়েজী, আশরাফ আলী আকন, মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।

সমকাল

Exit mobile version