Site icon The Bangladesh Chronicle

ফ্যাসিবাদের নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্রে অভিন্ন শর্তে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের তিন অঙ্গ সংগঠনকে সমাবেশের অনুমতি!

নিজস্ব প্রতিনিধি      30 July 2023
ফ্যাসিবাদের নিয়ন্ত্রিত কথিত গণতন্ত্রের নতুন স্টাইল শুরু করেছেন শেখ হাসিনা। একই শর্তে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ৩ অঙ্গ সংগঠনকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে। অপর দিকে সারা দেশেব্যাপী পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার অভিযানে নেমেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তায় পাহারা দিচ্ছে একই পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। এদিকে ২৩ অভিন্ন শর্তে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনকে সমাবেশের অনুমতি। অপর দিকে শুধু বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতারে অভিযান।
বৃহস্পতিবার (২৭শে জুলাই) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে দুই পক্ষকে অভিন্ন শর্তে সমাবেশে অনুমতির বিষয়টি জানান ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
তিনি জানান, ২৩ শর্তে আওয়ামী লীগের ৩টি অঙ্গ সংগঠনকে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ও বিএনপিকে নয়াপল্টনে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিএনপি মহাসমাবেশ ঘোষণার পরপরই আওয়ামী লীগের ৩ অঙ্গ সংগঠনের সমাবেশ একই দিনে করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এনিয়ে রাজনীতিতে খানিকটা উত্তেজনা তৈরি হয়।
এদিকে বিএনপি’র সমাবেশকে সামনে রেখে দলটির নেতাকর্মীদের পাইকারিহারে গ্রেফতার অভিযানে নেমেছে পুলিশ। শুধু বুধবার দিবাগত রাতেই পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে ঢাকায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সমাবেশকে ঘিরে কোনো হুমকি নেই। তবে, বড় দুই দলের কর্মসূচি থাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। সমাবেশকে ঘিরে পুলিশ, র্যাব, ও বিজিবি ও আনসার মোতায়েন থাকবে।
সমাবেশে ব্যাগ-লাঠিসোটা নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না বলেও উল্লেখ করেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
তিনি বলেন, ‘সমাবেশ করার জন্য দুই দলকে চৌহদ্দি ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। বিএনপির জন্য কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল পর্যন্ত সভা-সমাবেশ ও মাইকের ব্যবহার সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের সমাবেশ ও মাইকিং মহানগর নাট্যমঞ্চ থেকে শুরু করে মুক্তাঙ্গন পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।’
বিএনপির চাওয়া ছিল বৃহস্পতিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কিংবা নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ করার। তবে, দিনটি ‘কর্মদিবস’ উল্লেখ করে এ দুই ভেন্যুতে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি ডিএমপি।
পরে গতকাল জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে মির্জা ফখরুল জানিয়েছেন, দলটির মহাসমাবেশ বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে শুক্রবার দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হবে এবং তাদের নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনেই তারা এই মহাসমাবেশ করতে চায়।
বিএনপির গতকালের এই ঘোষণার পর সমাবেশের তারিখ বদলের ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগের ৩ সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগও। তারাও গতকাল রাতে স্থান সম্পর্কিত জটিলতার কথা উল্লেখ করে বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে শুক্রবারে তাদের ‘শান্তি সমাবেশ’ করার কথা জানায়।
Exit mobile version