Site icon The Bangladesh Chronicle

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছয় দিনের সফরে থাইল্যান্ড গেছেন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের ব্যাংকক পৌঁছালে তাঁকে লালগালিচা উষ্ণ সংবর্ধনা দেওয়া হয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের ব্যাংকক পৌঁছালে তাঁকে লালগালিচা উষ্ণ সংবর্ধনা দেওয়া হয়ছবি: বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছয় দিনের সরকারি সফরে আজ বুধবার থাইল্যান্ড গেছেন।

দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে দেশটি সফর করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট আজ সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় বেলা ১টা ৮ মিনিটে ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থাইল্যান্ড সফর উপলক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ গত সোমবার সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি বলেন, এটি একটি দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সফর। এই সফর উভয় পক্ষের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এতে বন্ধুপ্রতিম দুই দেশ বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।

গত জানুয়ারিতে বর্তমান সরকার গঠনের পর এটিই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর। সফরকালে শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন।

সোমবার সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনার আগ্রহপত্রসহ বেশ কিছু সহযোগিতার নথিতে সই করবে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড। এই সফর বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য দুই দেশের মধ্যে সম্ভাব্য ‘মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি’ পর্যালোচনার সুযোগ সৃষ্টি করবে। সফরকালে আসিয়ানের ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’ হওয়ার জন্য বাংলাদেশের আবেদনের বিষয়টি ঢাকা জোরালোভাবে উত্থাপন করবে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান রাজনৈতিক সংঘাতের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়ায় আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য বাংলাদেশ আসিয়ানের সদস্য হিসেবে থাইল্যান্ডের প্রতি তাগিদ পুনর্ব্যক্ত করবে। যেহেতু থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার উভয়ই আসিয়ানের সদস্যভুক্ত দেশ, তাই রোহিঙ্গা ইস্যুটি যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

prothom alo

Exit mobile version