- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৭ জুলাই ২০২৩, ২২:৫২
বৃহস্পতিবার হঠাৎ অবসরের ঘোষণা দিয়ে বসেন তামিম ইকবাল। তাতেই অস্থিতিশীল হয়ে উঠে ক্রিকেট পাড়া। হতভম্ব খেয়ে যায় বিসিবিও।
এরপর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেষে বিষয়টি সমাধানে এগিয়ে আসেন মাশরাফী। শেষ পর্যন্ত তার মধ্যস্থতাতে অভিমান ভাঙে তামিমের। ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
এখানে যে বড় ভূমিকা ছিল মাশরাফীর, গণভবন থেকে বেরিয়েই তা জানান তামিম। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে, কী এমন করলেন বা বললেন মাশরাফী, যার ফলে তামিম তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে বাধ্য হলেন? বিষয়টি মাশরাফীর কাছেই জানতে চাওয়া হলে- শুরুতে না চাইলেও অতঃপর এর পেছনের গল্প শোনান মাশরাফী।
তিনি বলেন, ‘তামিম তো সবকিছু থেকে দূরে ছিল। প্রধানমন্ত্রী তাই আমাকে বলেছেন ওর সাথে যোগাযোগ করতে। আমি ওনাকে বলেছি যে, ‘তামিমকে আমি নিয়ে আসছি আপনার কাছে।’ এরপরে তামিমকে আমি বলেছি যে- ‘তুই গিয়ে মনের কথা বল। তারপর যে সিদ্ধান্ত হওয়ার, তা হবে।’
এরপর প্রধানমন্ত্রীর সামনেই তামিমকে বলেছি, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ হাজার রান করছিস, তোর চরিত্রে সেই দাপট থাকা উচিত। এত আমতা আমতা করে, এত সংশয় নিয়ে ক্রিকেট খেলা যাবে না। ক্রিকেটে অভিমানের কোনো মূল্য নেই। এভাবে অবসর নিলে তিন মাস পর তোকে কেউ মনে রাখবে না। মনে রাখার মতো কিছু করতে হবে।’
‘তুই দেশের জন্য খেলছিস, এতে তোর গর্ব করা উচিত। দেশ তোর প্রতি কৃতজ্ঞ নয়, তোর কৃতজ্ঞ থাকা উচিত দেশের প্রতি। ১৫ হাজার রান করেও যদি দলের ভেতরে-বাইরের চাপ নেয়ার মানসিকতা না থাকে, তাহলে অবসর নেয়াই ঠিক আছে! আমার এসব কথায় খারাপ লাগতে পারে, তবে ক্রিকেট খেলা এতটা সহজ নয়।’
এরপর যে তামিম বিষয়টা সহজভাবে মেনে নিয়েছে এবং সবকিছু যেভাবে শেষ হলো তাতে স্বস্তি অনুভব করছেন বলে জানান বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা এই অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘এর চেয়ে ভালো সমাধান আশা করিনি। তামিম বিরতি চেয়েছে, সেটা নিক। পুরো ফিট হয়ে, মানসিকভাবে তরতাজা হয়ে ফিরুক।’
এরপর তামিমের অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মাশরাফী বলেন, ‘এভাবে অবসরের মানে নেই। বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনেক কিছুই হয়। কোচের সাথে ঝামেলা হতে পারে, বোর্ডের সাথে হতে পারে। আমার ২০ বছরের ক্যারিয়ার আর অধিনায়কত্বের ৫-৬ বছরে তো কম হয়নি এসব। সব দলেই কম-বেশি এসব হয়। এসব সামলেই চলতে হয়।’