Site icon The Bangladesh Chronicle

প্রধানমন্ত্রিত্বের উত্তরাধিকার

বর্তমান সরকারকে উৎখাত করে কাদের ক্ষমতায় আনতে চান- বাম ধারার রাজনীতিকদের এ প্রশ্ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিএনপিসহ কয়েকটি বামপন্থী দলের সরকারবিরোধী আন্দোলনের বিষয়ে ২ মে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা আমাকে উৎখাত করবে, তাহলে পরবর্তী সময়ে কে আসবে? সেটি কি ঠিক করতে পেরেছে? কে দেশের জন্য কাজ করবে? কাদের তারা ক্ষমতায় আনতে চায়? সেটি স্পষ্ট নয়। তাই জনগণের কোনো সাড়া পাচ্ছে না।’ শেখ হাসিনা এটিও বলেন, ‘কেউ পলাতক হয়ে বিদেশে বসে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে অনলাইনে নির্দেশ দিয়ে যাচ্ছে, আন্দোলন করে যাচ্ছে। আমরা আন্দোলনে বাধা দিচ্ছি না।’ প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফর-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য পর্যালোচনা করলে সারমর্ম দাঁড়ায়- প্রধানমন্ত্রিত্বের উত্তরাধিকার সঙ্কট। গত ৭ জানুয়ারি দেশে একটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কয়েক মাস হয়েছে মাত্র। বিরোধী দল বলেছে, বোগাস নির্বাচন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই ডামি শব্দটি ব্যবহার করে নিজের অজান্তেই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। তাহলে এটি কি স্পষ্ট হয় না যে, অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রিত্বের উত্তরাধিকার যথার্থভাবে নিশ্চিত হয়নি? একটি জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ-জাতি-রাষ্ট্র একটি সর্বসম্মত সরকার লাভ করে। দেশ ও বিদেশে তা গ্রহণযোগ্য হয়। প্রধানমন্ত্রীর উত্থিত প্রশ্নগুলোর জবাব কি নির্বাচনের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়নি? যেমন- তিনি প্রশ্ন করেছেন, পরবর্তী সময় কে আসবে?

সংবিধান মোতাবেক নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক উত্তরাধিকার নিশ্চিত হয়। সে হিসাবে আরো পাঁচ বছর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এখন যখন প্রধানমন্ত্রী নিজেই পরবর্তী নেতৃত্বের প্রশ্ন করছেন, তাহলে এই নির্বাচন কি গ্রহণযোগ্য হয়নি? এটি সবারই জানা কথা যে, বিগত নির্বাচনের আগে একটি রাজনৈতিক সঙ্কট দেখা দিয়েছিল। সেটির একটি দেশজ প্রেক্ষাপট ছিল। সব বিরোধী দল একত্রিত হয়ে বলেছিল- ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। অবশেষে দেখা গেল, বিরোধী কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। ছলেবলে-কলে-কৌশলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক পক্ষকে নির্বাচন থেকে নির্বাসন দিয়েছে। তারা হেন অনৈতিক কাজ করেনি বিরোধীপক্ষকে বাগে আনার জন্য। অর্থ, ভয়-ভীতি, বিভাজন ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দু’-একটি চুনোপুঁটি তারা ক্রয় করতে পারলেও বৃহত্তর বিরোধীপক্ষে কোনো ফাটল ধরাতে পারেনি। তাদের সেই পুরোনো রাজকীয় মিত্র জাতীয় পার্টিই কেবল প্রহসনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। তাও আবার পার্টিপ্রধান জি এম কাদেরকে ভয়ে ও অর্থে বশ্যতা মানানোর পর। এসব অভিযোগ সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। এ তো গেল অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অবস্থা।

প্রতিটি রাষ্ট্র ও সরকারের বৈশ্বিক সম্পর্ক রক্ষা করতে হয়। গণতান্ত্রিক বিশ্ব স্বাভাবিকভাবেই গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে চাইবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কী পরিমাণ চাপ প্রয়োগ করেছিল তা বোঝা যায় আওয়ামী নেতাদের আবোল-তাবোল উচ্চারণে। অবশেষে কাদের সহায়তায় ক্ষমতায় গেলেন, তা প্রকাশ্যে বলতে ওবায়দুল কাদের লজ্জাবোধ করেননি। সে সময় কাদের সাহেব ওই কথাও বলেছিলেন যে, তলে তলে মিটমাট হয়ে গেছে।

তাহলে একজন যখন প্রধানমন্ত্রী নতুন করে নিজের বৈধতার প্রশ্ন তুলছেন, ষড়যন্ত্রের কথা বলছেন, তাহলে কি মিটমাট হলো? সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নতুন করে কঠোর ভাষায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করলেন। তাহলে সেখান থেকে কি কোনো নতুন চাপ এসেছে? স্মরণ করা যেতে পারে, এই সেদিনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মুখপাত্র বাংলাদেশের নির্বাচনের ব্যাপারে তাদের কোনো ভূমিকা পরিবর্তন হয়নি বলে জানিয়েছেন। এদিকে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে তেমন কোনো উলট-পালট না হলেও প্রধান বিরোধী দলে নতুন করে সাজ সাজ রব উঠেছে। রাজধানী ঢাকায় ১০ ও ১১ মে দু’টি সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। এর আগে ২৬ মার্চ এবং ১ মে স্বাধীনতা ও বিশ্ব শ্রমিক দিবস উপলক্ষে সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি।

বিস্ময়ের ব্যাপার- বিএনপি নিঃশেষ হয়েছে বলে সরকারি দল যে আত্মতৃপ্তি লাভ করছিল ওই দু’টি সমাবেশ তা মিথ্যা প্রমাণ করেছে। আগামী দু’টি দিবসে বিপুল জনসমাগম ঘটবে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করে। প্রথমত, প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য, দ্বিতীয়ত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাষ্য এবং তৃতীয়ত, অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নতুন করে সমীকরণ কিসের ইঙ্গিত দেয়? প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, তাকে উৎখাত করতে দেশে অতিডান-অতিবাম সবই এক হয়ে গেছে। দেশ ও জাতির কী ভয়ঙ্কর অবস্থা হলে এ ধরনের নিপাতনে সিদ্ধ ঘটনা ঘটতে পারে তা নিশ্চয়ই বিবেচনায় আসা উচিত। আগেই বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর উত্থাপিত প্রশ্নগুলো অলীক নয়, বাস্তব। এখন এটিই স্পষ্ট, বাংলাদেশ জাতি-রাষ্ট্র ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে যে গণতান্ত্রিক উত্তরাধিকার অর্জন করার কথা, তা করেনি। যে নিয়মতান্ত্রিকতার মাধ্যমে নেতৃত্বের অদল বদল হওয়ার কথা তা হয়নি; বরং গোষ্ঠীতন্ত্র আরো শক্তভাবে জেঁকে বসেছে। তা হলে বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি নির্বাচনের আগে যে অরাজকতায় নিপতিত ছিল তার কোনো পরিবর্তন হয়নি।
রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কোনো কথা নেই। সমস্ত সঙ্কটের সমাধান তথা শেষ কথা হলো- গণতন্ত্র, গণতন্ত্র এবং গণতন্ত্র। একমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমেই সেই গণতন্ত্র অর্জিত হতে পারে। পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হতে পারে হারানো গণতন্ত্র। এই বহমান রাজনৈতিক সঙ্কটে সমাধান হিসেবে যে ব্যবস্থার কথা বলা হচ্ছে তা হলো- পুনর্নির্বাচন বা মধ্যবর্তী নির্বাচন। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো মধ্যবর্তী নির্বাচন শব্দটি ব্যবহার করতে রাজি নয়। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে কোনোক্রমেই তারা স্বীকৃতি দিতে চায় না। অপর দিকে, পুনর্নির্বাচনকে ওবায়দুল কাদের মামাবাড়ির আবদার বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রীরাও বলেছেন, সংবিধান মোতাবেক যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য বিরোধী শক্তিকে আরো পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে।

তবে নতুন নির্বাচনের জন্য পথ খুলে দেবেন এরকম দুরাশাই মাত্র। তবে বিএনপি এবং ডান-বাম মিলে যে আন্দোলনের ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে তাও যথার্থ গণতান্ত্রিক পন্থায় এগোতে পারবে বলে মনে হয় না। প্রধানমন্ত্রী ওই সংবাদ সম্মেলনে তারও ইঙ্গিত দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র পুলিশের ইসরাইলবিরোধী আন্দোলন দমনের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিরোধীদের আন্দোলন দমনে নতুন পথ তৈরি হয়েছে। আমাদের পুলিশকে যদি বলে দেই, আমেরিকার পুলিশের স্টাইলে আন্দোলন মোকাবেলা করো, তাহলে যেভাবে আন্দোলন থামায়- মনে হয় আমাদের পুলিশ সেটি অনুসরণ করতে পারে। আমরা তো ধৈর্য ধরতে বলছিলাম।’

রাজতন্ত্রে উত্তরাধিকার নির্ণয়ের পদ্ধতি একরকম। রাজাই নির্ণয় করেন ভবিষ্যৎ উত্তরাধিকার। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠ সন্তানের অগ্রাধিকার রয়েছে। বাংলাদেশ যেহেতু একটি রাজতন্ত্র নয়, সে জন্য গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থাই রাজনৈতিক উত্তরাধিকার নির্ণয়ের একমাত্র পন্থা। অপর দিকে, প্রজাতন্ত্রে উত্তরাধিকার নির্ণয়ের পন্থা অন্যরকম। প্রজাতন্ত্রে প্রজাসাধারণই উত্তরাধিকার নির্ণয়ের নিয়ামক। বাংলাদেশের সংবিধানেও বলা হয়েছে- ‘জনগণই একমাত্র ক্ষমতার উৎস’। সামরিকতন্ত্রে ক্ষমতার উৎস ‘শক্তি’। এখন উন্নয়নের গণতন্ত্রের সম্মতির বদলে আমরা শক্তি প্রয়োগের নগ্ন প্রদর্শনী দেখছি। প্রধানমন্ত্রী একটি সাংবিধানিক নির্বাচনের পরও যে অভ্যন্তরীণ আনুগত্য এবং বৈশ্বিক গণতান্ত্রিক স্বীকৃতি অর্জন করেননি- তারই অপ্রিয় প্রতিফলন ঘটেছে সংবাদ সম্মেলনে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানে উত্তরাধিকার নির্ণয়ের নানা পথ ও প্রক্রিয়ার কথা বলা আছে। Oxford dictionary of Politics-এ পাঁচটি স্বীকৃত পথ ও প্রক্রিয়ার কথা উল্লেখ আছে। প্রথমত, ব্যক্তি নেতৃত্বের দ্বারা কর্তৃত্বের পরিবর্তন : কোনো কোনো রাষ্ট্রে ব্যক্তি সর্বসত্তা প্রতিফলিত হয়। একজন ব্যক্তি একটি দল বা গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে রাষ্ট্রযন্ত্রকে পরিচালনা করেন। ব্যক্তি যদি হয় জনগণের কল্যাণকামী তাহলে সমস্যা নেই। কিন্তু ব্যক্তি যদি স্বৈরাচারী হন তাহলে তিনি তার নেতৃত্ব-কর্তৃত্বকেও পরিচালনা করেন ওই পথেই। এভাবে গোটা পৃথিবীতে আদর্শের নামে, গোষ্ঠীর নামে, ধর্মের নামে ও বর্ণের নামে সৃষ্টি হয় বিকারগ্রস্ত ব্যক্তিতন্ত্র। বিকারগ্রস্ত ব্যক্তিতন্ত্র কর্তৃক স্বাভাবিকভাবেই বিকৃত উত্তরাধিকার নির্ণীত হয়। একজন কিম ইল সুঙ এভাবে সৃষ্টি করেন বংশপরম্পরায় বিকৃত নেতৃত্ব। দ্বিতীয়ত, কতিপয় তন্ত্র : এ ব্যবস্থায় একজন ব্যক্তির পরিবর্তে কয়েকজন ব্যক্তি ক্ষমতার মালিক-মোক্তার হয়ে ওঠে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এদের এলিট বলে চিহ্নিত করা হয়। এরা রাষ্ট্র ও দলকে নিজেদের ইচ্ছেমতো পরিচালনা করে। দৃশ্যত চীনা নেতৃত্ব শি জিন পিং এরই বার্তাবাহক। তৃতীয়ত, দলীয় রাষ্ট্র : এ ব্যবস্থায় ব্যক্তি নয়, গোষ্ঠী নয়; বরং রাজনৈতিক দল উত্তরাধিকার ধারণ করে। সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো ছিল এ ধারারই পথিক। চতুর্থত, পরোক্ষ নির্বাচন পদ্ধতি : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো কয়েকটি রাষ্ট্রে ‘নির্বাচকমণ্ডলী’ বা ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ নামে অভিহিত নির্বাচন, পরোক্ষ নির্বাচন। এভাবে রাষ্ট্রের উত্তরাধিকার নির্ণয়ে সাধারণ মানুষের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। পঞ্চমত, সর্বজনীন ভোটাধিকার পদ্ধতি : এ ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের নাগরিকদের সর্বজনীন ভোটাধিকারের ভিত্তিতে উত্তরাধিকার নির্ণীত হয়। আমাদের দেশসহ পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশে এই পদ্ধতি প্রচলিত।

রাজনৈতিক উত্তরাধিকার তথা রাষ্ট্র কর্তৃত্বের পরিবর্তন প্রক্রিয়া বিবিধ পথে যে অনুষ্ঠিত হয়, তার পাঁচ দফা আলোচনা আমরা দেখলাম। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সর্বশেষ প্রক্রিয়াটি প্রযোজ্য। বাংলাদেশ ব্রিটেনের ঔপনিবেশিক উত্তরাধিকারের কারণে সংসদীয় সরকারব্যবস্থা অনুসরণ করে। এ ব্যবস্থায় সংসদ নেতা বা নেত্রীই হচ্ছেন সব কর্তৃত্বের বৈধ মালিক। এটি দুর্ভাগ্যের বিষয় যে, স্বাধীনতা অর্জনকারী দলটি গণতন্ত্রের সুন্দর পথে অগ্রসর না হয়ে প্রথম থেকেই ‘এক নেতা এক দেশ’ নীতিতে দেশ পরিচালনা করে। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ভুল-ত্রুটির মধ্য দিয়ে অগ্রসর হচ্ছিল দেশটি। কিন্তু শাসকগোষ্ঠী গণতন্ত্রকে তাদের জীবনবোধ হিসেবে গ্রহণ না করে ক্ষমতায় আরোহণের কৌশল হিসেবে গ্রহণ করে। আজো সেই প্রবণতা প্রবহমান।

প্রধানমন্ত্রীর উত্থাপিত প্রশ্নগুলো পর্যালোচনা করলেই সত্যিকারের চেতনাটি বেরিয়ে আসবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নের উত্তরে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। সেই নির্বাচনে জনগণই ঠিক করবে, তারা কাদের ক্ষমতায় বসাবে।’ মূলত গণতন্ত্রের অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি সত্ত্বেও এটি আজো পৃথিবীতে উত্তরাধিকার নির্ণয়ের প্রকৃষ্ট পন্থা। টি এইচ গ্রিন বলেন, ‘ডেমোক্র্যাসি মে বি ফেইল্ড ইন মেনি ব্যাটলস, বাট ইট উইন্স দ্য লাস্ট।’

লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

nayadiganta

Exit mobile version