Site icon The Bangladesh Chronicle

প্রথমে কোচ অতঃপর নির্বাচক হবার ইচ্ছে আশরাফুলের

মোহাম্মদ আশরাফুল – ছবি : সংগৃহীত

মোহাম্মদ আশরাফুলকে বলা হতো বাংলাদেশ ক্রিকেটের আশার ফুল। ছিলেন তার সময়ের সেরা ক্রিকেটার। তবে ফিক্সিংয়ের কালো থাবা তার সব কিছুই উলট-পালট করে দিয়েছে, যেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি তিনি। ফলে ক্রিকেট ক্যারিয়ারে নেমে এসেছে সায়াহ্ন। তাই এবার খেলা ছেড়ে কোচিংয়ে মন দিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি দুবাই থেকে লেভেল-৩ কোচিং কোর্স করে এসেছেন আশরাফুল। লক্ষ্য কোচ হয়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা। যদিও খেলাটা এখনো ছাড়েননি আশরাফুল। তাই কবে থেকে পেশাদার কোচ হিসেবে তাকে দেখা যাবে, তা এখনো ধোঁয়াশায়। তবে আশরাফুল জানিয়েছেন, আগামী জাতীয় ক্রিকেট লিগের পর বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন তিনি।

গত রোববার (৪ জুন) স্থানীয় এক গণমাধ্যমের সাথে আলাপে মাতেন আশরাফুল। যেখানে উঠে আসে জাতীয় দলের দায়িত্ব নিতে স্থানীয় কোচদের অনাগ্রহের কথা, আবার একই সাথে দেশীয় কোচ নিয়োগে বিসিবির অনাগ্রহের কথাও। এর কারণ হিসেবে আশরাফুল দেখেন কোচদের সমৃদ্ধ ক্রিকেট ক্যারিয়ার না থাকা।

আশরাফুল বলেন, ‘আস্তে আস্তে পরিবর্তন হবে, দেশেই হচ্ছে। আমাদেরও হবে। অবশ্য দায়িত্বটা আমাদেরও, আমরা যদি ভালো কাজ করি তখন হয়তোবা মনোভাব বদলাবে। আসলে আমাদের ওই মানের কোচ, যাদের সমৃদ্ধ ক্যারিয়ার ছিল তেমন নাই। তাই কঠিন হচ্ছে।’

কোচিং ক্যারিয়ারটা কিভাবে গড়তে চান, জানতে চাই আশরাফুল বলেন, ‘যারা লেভেল-৩ কোচিং করে তারা একটা দেশের প্রধান কোচ হবার যোগ্যতা রাখে। তার অধীনেই ব্যাটিং কোচ থাকে, ফিল্ডিং কোচ থাকে। আর আমার তো মাত্র শুরু। শুরুর দিকে আমার নিজেরও আলাদা কোনো চাহিদা নাই। অভিজ্ঞ হয়ে গেলে তখন হয়তো আমি বলতে পারবো যে আমি এটা চাই।’

বিসিবির বয়সভিত্তিক, গেম ডেভেলপমেন্টে সুযোগ থাকে কাজ করার। প্রস্তাব পেলে কিভাবে দেখবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় সুযোগ আসলে আমি কাজ করতে চাই। আমিতো শিখবো। এটাই আমার চাওয়া এখন। এরপর অভিজ্ঞতা বাড়লে না হয় পরের ভাবনা। আর এখন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আমি হয়তো হেড কোচ কাম ব্যাটিং কোচের কাজটা করতে পারি।’

এই সময় জাতীয় দলের নির্বাচক হবার ইচ্ছের কথাও প্রকাশ করেন আশরাফুল। কখনো সুযোগ আসলে লুফে নিতে চান তিনি। এই প্রসঙ্গে আশরাফুল বলেন, ‘নির্বাচক হবার ইচ্ছে আমার আছে। যদি বেঁচে থাকি তবে শেষ দিকে হব। কারণ এই চাকরিটাতো দুই বছর বা চার বছরের। এটা সম্মানসূচক একটা চাকরি। এটাতো এমন চাকরি না যে- আমি ১০-১২ বছর ধরে এই কাজ করবো। আমার ইচ্ছে আছে ক্রিকেট কোচিংয়ের শেষদিকে।’

Exit mobile version