- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
কাতারে হামাস নেতাদের ওপর চালানো পরিকল্পিত হামলার বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আগেই অবহিত করেছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সোমবার প্রকাশিত মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে, যা হোয়াইট হাউসের বক্তব্যের সঙ্গে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক। হোয়াইট হাউস বরাবরই দাবি করে আসছিল যে, ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পরই তাদের এ বিষয়ে জানানো হয়েছিল।
ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে অ্যাক্সিওস জানায়, মঙ্গলবার ওয়াশিংটন সময় সকাল ৮টার দিকে নেতানিয়াহু ট্রাম্পকে ফোন করে আসন্ন হামলা সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। এর প্রায় ৫১ মিনিট পর কাতারের রাজধানী দোহায় বিস্ফোরণের খবর আসতে শুরু করে।
হোয়াইট হাউসের দাবি, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আকাশে থাকা অবস্থায় তাদের হামলার খবর জানানো হয় এবং সে কারণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এতে আপত্তি জানানোর কোনো সুযোগই ছিল না। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট অ্যাক্সিওসকে বলেন, ‘মার্কিন সামরিক বাহিনী দোহায় হামাস নেতাদের ওপর ইসরায়েলি হামলার বিষয়টি ট্রাম্পকে অবহিত করে এবং তিনি তাৎক্ষণিকভাবে তার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফকে বিষয়টি কাতারকে জানানোর নির্দেশ দেন।’
তবে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, হোয়াইট হাউস বিষয়টি আগে থেকেই জানত, যদিও তাদের হাতে অভিযানটি থামানোর জন্য খুব কম সময় ছিল। একজন জ্যেষ্ঠ ইসরায়েলি কর্মকর্তা দাবি করেন, ‘ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার আগেই ট্রাম্প হামলা সম্পর্কে জানতেন এবং তিনি না বলেননি।’ আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, রাজনৈতিক পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘অনেক আগেই’ বিষয়টি জানানো হয়েছিল এবং ‘ট্রাম্প চাইলে এটি থামাতে পারতেন।’
কর্মকর্তারা জোর দিয়ে আরও বলেন, ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর ফোনালাপের সময় কোনো ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়নি এবং ট্রাম্প আপত্তি জানালে ইসরায়েল হামলাটি বাতিল করত। তবে এই প্রতিবেদনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েলের কোনো কর্মকর্তা এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেননি।
উল্লেখ্য, দোহার ওই হামলায় পাঁচ হামাস সদস্য এবং একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হন। হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিলেন হামাস নেতারা, যারা সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছিলেন। এই হামলার পর বিশ্বজুড়ে তীব্র নিন্দা জানানো হয় এবং ট্রাম্প নিজেও এই অভিযান নিয়ে ‘খুবই অসন্তুষ্ট’ বলে মন্তব্য করেন।
এদিকে, সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বারবার এই হামলাকে ইসরায়েলের একটি একতরফা পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।