ঘটনাটি ভারতের কর্ণাটক রাজ্যর এক কৃষকের।
টাইমস নাউর খবরে বলা হয়েছে, ভারতে পেঁয়াজের আকাশছোঁয়া দামের করণে হা–হুতাশের মধ্য কর্ণাটকের কৃষক মল্লিকার্জুন হাসছেন তৃপ্তির হাসি। কারণ, পেঁয়াজ বেচে এক মাসেই কোটিপতি হয়ে গেছেন তিনি। মল্লিকার্জুন ২০ একর জমিতে পেঁয়াজের চাষ করেন। ১০ একর তাঁর নিজের, বাকিটা তিনি বর্গা নিয়ে পেঁয়াজের চাষ করেছেন। মূল্যবৃদ্ধির বাজারে তার ফলনও ভালো হয়। ২৪০ টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয় জমিতে। ভারতের বাজারে নভেম্বরে পেঁয়াজের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৭০ রুপি। ডিসেম্বরে সেই পেঁয়াজের দাম হয় ১১০ রুপি। মল্লিকার্জুন পেঁয়াজ বেচেন ১০০ রুপিতে। আর পকেটে পুরেন কোটি রুপি।
কর্ণাটকের চিত্রদুর্গ জেলায় বাড়ি ৪২ বছর বয়সী মল্লিকার্জুনের। ২০০৪ সাল থেকে তিনি পেঁয়াজ চাষ করে আসছেন। গত বছর তিনি লাভ করেছেন ৫ লাখ রুপি।
তিনি বলেন, ১৫ লাখ রুপি ঋণ নিয়ে পেঁয়াজ চাষ করেন। তিনি আশা করেছিলেন ২০ একর জমির পেঁয়াজ বেচে ৫–১০ লাখ রুপি লাভ হবে। কিন্তু তাঁর কপাল যে খুলে যাবে, তা তিনি ভাবেননি। তিনি ঋণের ১৫ লাখ রুপি শোধ করে এক কোটির বেশি রুপি জমিয়েছেন। পেঁয়াজ বেচে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়া কৃষক বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত ঋণের টাকা উঠবে কি না, সেই সংশয় ছিল। কারণ, ভালো দাম না পেলে আমি ঋণে ডুবে যেতাম। তবে শেষমেশ আমি লাভের মুখ দেখেছি। আমার পরিবারের ভাগ্য এবার পরিবর্তন হবে।’