Site icon The Bangladesh Chronicle

পুলিশে অস্থিরতা, দফায় দফায় বৈঠক

 আমার দেশ
১৮ মে ২০২৩

বিকালে রাজারবাগে পুলিশের ক্রাইম কন্ফারেন্সে বক্তব্য রাখছেন আওয়ামী মন্ত্রী কামাল

বিশেষ প্রতিনিধি

পুলিশে অস্থিরতা বিরাজ করছে। ভবিষ্যত কর্মপদ্ধতি নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করছে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তা ব্যক্তিরা। অংশগ্রহণমুলক নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সরকারের উপর চাপ ও বিরোধী জোট এবং দল গুলোর আন্দোলনের হুমকি কিভাবে মোকাবিলা করবে এনিয়েই মূলত আলোচনা হয় বৈঠক গুলোতে। সরকারের পতন হলে তাদের ভাগ্যে কি ঘটবে এনিয়েও অস্থিরতা রয়েছে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ভেতরে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত সোমবার আইজিপি’র উপস্থিতিতে গুলশান-১ এ পুলিশ কনভেনশন হলে উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সরকারের উপর বিদেশীদের চাপের প্রসঙ্গটিও আলোচনায় উঠে আসে। কিভাবে ভবিষ্যতে সরকার বিরোধী আন্দোলন মোকাবিলা করতে হবে সেই কৌশল নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।

এদিকে ২৪তম বিসিএস-এ নিয়োগপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি আওয়ামী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানের সাথে বৈঠক করেছেন। সূত্র জানায়, বৈঠকে মূলত তাদের পদোন্নতির বিষয়ে দাবী জানানো হয়েছে। ২৪তম বিসিএস-এর পুলিশ কর্মকর্তারা আগামী নির্বাচনের আগেই পদোন্নতি চায়। কোন কারণে সরকারের পতন হলে তারা পদোন্নতি বঞ্চিত এবং চাকুরিচ্যুত হতে পারেন। এই আশঙ্কা থেকেই তারা দ্রুত পদোন্নতি নিতে চান।

এছাড়া গত বুধবার বিকালে রাজারবাগে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন আওয়ামী মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। পুলিশের ভাষায় তাদের সাথে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজারবাগে ক্রাইম কনফারেন্স করেছেন। ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন জোনের পুলিশ অফিসার ছাড়াও এই কনফারেন্সে আশে-পাশের জেলার এসপিরা উপস্থিত ছিলেন। কনফারেন্সে নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য সরকার বিরোধী আন্দোলন মোকাবিলার কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, অংশগ্রহণমুলক নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সরকারের উপর বিদেশী চাপ চার দিকে থেকে। আমেরিকা, ইউরোপ ও বৃটেন সরকারকে অংশগ্রহণমুলক নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য চাপ দিচ্ছে। চাপের বিষয়টি শেখ হাসিনা ও তাঁর ওজিরদের বক্তব্যের মাধ্যমেই প্রকাশ পেয়েছে। শক্তিশালী দেশ গুলোর পক্ষ থেকে এই চাপের পাশাপাশি বিরোধী দল গুলো নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবীতে আন্দোলনে রয়েছে। ভবিষ্যতে কঠোর কর্মসূচির হুমকি দেওয়া হচ্ছে আন্দোলনরত বিরোধী জোট এবং দল গুলোর পক্ষ থেকে। সব মোকাবিলা করতে পুলিশের উপর চাপ বাড়ছে সরকারের পক্ষ থেকে। জনবিচ্ছিন্ন এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পুলিশ, র‌্যাব এবং সেনাবাহিনীই ভরসা।

এদিকে পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আমেরিকা, ইউরোপ এবং বৃটেনের চাপের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসায় পুলিশের মধ্যেও অস্থিরতা বিরাজ করছে। এই অবস্থায় সরকার বিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে উঠলে পুলিশের ভূমিকা কি হবে সেটা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছে পুলিশের অনেক কর্মকর্তা।

Exit mobile version