Prothom Alo
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে জয়ের ধারায় ছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু পাওয়ারপ্লেতে দ্রুত রান তোলায় দুর্বলতা, ব্যাটসম্যানদের রানখরা, ভালো উইকেটে বোলিং দুর্বলতার মতো সমস্যাগুলো বাংলাদেশ দল বয়ে বেড়াচ্ছিল অনেক আগে থেকেই। ঘরের মাঠের কন্ডিশনে টানা জয়ে এসব সামনে আসেনি।
কিন্তু বিশ্বকাপে গিয়ে সেই পুরোনো সমস্যাগুলোই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। মূল পর্বে এখন পর্যন্ত কোনো জয়ই পায়নি বাংলাদেশ। টানা তিন ম্যাচ হেরে বাংলাদেশ দলের সেমিফাইনালের আশা এখন প্রায় নিবু নিবু। সুপার টুয়েলভে বাংলাদেশ দলের বাকি দুই ম্যাচ এখন অনেকটাই নিয়ম রক্ষার। তার আগে নির্বাচক হাবিবুল বাশার বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের যে সমস্যার কথা বললেন, সেসব কমবেশি সবার জানা।
বিসিবির পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় আজ তিনি বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘ব্যাটিংটা আমাদের ভুগিয়েছে। আমরা কিন্তু ম্যাচগুলোতে জয়ের সুযোগ তৈরি করেছিলাম। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভালো ব্যাটিং করেছিলাম, তা ছাড়া বাকি ম্যাচগুলোতে আমরা ভালো ব্যাটিং করতে পারছি না। পারিনি আসলে। এই টুর্নামেন্টে ব্যাটিংয়ে যে প্রত্যাশা ছিল, আমরা তার কাছাকাছি যেতে পারিনি।’
ব্যাটিং সমস্যাটার মূলে যে বাংলাদেশ দলের ওপেনাররা, সেটি তো এবারের বিশ্বকাপই প্রমাণ।
হাবিবুল এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘পাওয়ারপ্লেতে আমাদের ব্যাটিংয়ে অনেক উন্নতি করতে হবে, যদি আমরা টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিকভাবে ভালো করতে চাই, বড় আসরে ভালো করতে চাই। অবশ্যই ব্যাটিংয়ে আমাদের উন্নতি করতে হবে।’
লোয়ার অর্ডার পাওয়ার হিটারের অভাব তো বরাবরের মতো এবারও টের পেয়েছে বাংলাদেশ, ‘নিচের দিকেও কিন্তু আমাদের পাওয়ার হিটার দরকার। অন্য দলগুলোয় এমন অনেকেই আছে, যারা ওভারে ১০ থেকে ১২ রান করে তুলতে পারে। এই জায়গায় আমাদের কিছু ঘাটতি আছে, এটা নিয়েও কাজ করতে হবে।’
এ তো গেল ব্যাটিং-বোলিংয়ের কথা। ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের ‘পিচ্ছিল হাত’ সমস্যার সমাধান মিলছে না। এবারের বিশ্বকাপে ছয় ম্যাচ খেলে ১২টি ক্যাচ হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ দলের ফিল্ডাররা।
হাবিবুল এ ক্ষেত্রেও দেখতে চান দ্রুত উন্নতি, ‘কোনো ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং তো খারাপ হতেই পারে। তবে ফিল্ডিংয়ে ধারাবাহিকভাবে ভালো করতেই হবে। সেটা যেকোনো ম্যাচেই হোক। বড় আসর হলে তো আরও গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে আরও বেশি চাপ থাকে। মিস ফিল্ডিং আসলে দলের ছন্দটাই নষ্ট করে দেয়। এই এক জায়গায় আমি আরও অনেক উন্নতি দেখতে চাই ভবিষ্যতে।’