পিটার হাসের সঙ্গে ‘মায়ের ডাক’র সদস্যদের সাক্ষাৎ

logo

স্টাফ রিপোর্টার

১১ মে ২০২৩

নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ এর সদস্যরা মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর বারিধারাস্থ আমেরিকা সেন্টারে মার্কিন রাষ্ট্রদূত তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় সেখানে মার্কিন ডেপুটি রাষ্ট্রদূত হেলেন লাফাভে এবং ‘মায়ের ডাক’ সংগঠনের সমন্বয়কারী নিখোঁজ সুমনের বোন সানজিদা ইসলামসহ নিখোঁজ প্রায় ২০ জনের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে মায়ের ডাক-এর সমন্বয়কারী সানজিদা ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, মায়ের ডাকের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস-এর সর্বশেষ গত বছরের ১৪ই ডিসেম্বর একটি সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে অনেকটা বাধার সৃষ্টি করা হয়। ফলে আমরা সাক্ষাৎকারটি শেষ করতে পারিনি। অন্য একটি সংগঠন বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরির পাশাপাশি রাস্তায় পিটার হাসকে ব্লক করার চেষ্টা করে। সে কারণে ওই মিটিংটির সুন্দর সমাপ্তি আমরা করতে পারিনি। তিনি যে সকল ভিকটিম পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন সেই অসমাপ্ত সাক্ষাৎকারটি শেষ করার জন্য আমাদের আমন্ত্রণ জানান।

এ সময় পিটার হাস ভুক্তভোগী পরিবারের কথা জানতে চান। বর্তমান পরিস্থিতি কী? কোন পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে গুম হওয়া পরিবারগুলো যাচ্ছে। কি হচ্ছে এখন? সবকিছু মিলিয়ে পুরো সময়জুড়ে আলোচনা হয়।

বিজ্ঞাপন

তিনি ভুক্তভোগীদের কথা শোনেন। এ সময় পিটার হাস জানান, জোরপূর্বক তুলে নেয়া এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধে অবশ্যই তাদের অবস্থান রয়েছে।

সেটা পুনরায় নিশ্চিত করেছেন। এটা নিয়মিত মনিটরিং এর মধ্যে থাকবে। এ সময় গুম হওয়ার পরিবারের সঙ্গে এখন কি হচ্ছে সে বিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানাতে বলেছেন। সম্প্রতি নতুন করে আর কোনো হয়রানি কিংবা মনিটরিং হচ্ছে কিনা তা জানতে চেয়েছেন। সানজিদা ইসলাম বলেন, গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারগুলো সবসময় চাপের মধ্যে রয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে কেউ গ্রেপ্তার হচ্ছেন। পুলিশ বাসায় যাচ্ছে। হয়রানির শিকার হচ্ছেন। থানায় ডেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

গত বছরের ১৪ই ডিসেম্বর সকাল ৯টা ৫ মিনিটে ঢাকার শাহীনবাগে নিখোঁজ সাজেদুলের বাসায় যান মার্কিন রাষ্ট্রদূত। এরপর ৯টা ৩৫ মিনিটে তিনি সেখান থেকে বের হয়ে যান। সাজেদুলের বাসায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত আসছেন এমন খবরে সেখানে ‘মায়ের কান্না’ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে কিছু মানুষ জড়ো হন। তারা মার্কিন দূতের গাড়ির গতিরোধ করার চেষ্টা করেন এবং বিভিন্ন দাবি তোলার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।