পাপিয়া ও তাঁর স্বামীকে ১৫ দিনের রিমান্ডে পেল র্যাব
অস্ত্র, মাদক ও জাল টাকার পৃথক তিন মামলায় নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর ওরফে পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুর রহমানকে পুনরায় ১৫ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
এবার র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ বুধবার এই আদেশ দেন।
তিন মামলায় আগের ১৫ দিনের রিমান্ড শেষে পাপিয়া ও তাঁর স্বামীকে আজ আদালতে হাজির করা হয়।
আদালত সূত্র জানায়, মামলা তিনটির তদন্তভার র্যাব পেয়েছে। এবার এই তিন মামলায় পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুরকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে মোট ৩০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে র্যাব।
আদালতে পাপিয়া ও তাঁর স্বামীর পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
আদালত শুনানি নিয়ে তিন মামলার প্রতিটিতে পাপিয়া ও তাঁর স্বামীকে ৫ দিন করে মোট ১৫ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।
আদালত সূত্র জানায়, বিমানবন্দর থানায় করা জাল টাকার মামলায় পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুরের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আর শেরেবাংলা নগর থানায় করা অস্ত্র ও মাদক মামলায় পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুরের ৫ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আদালতকে র্যাব প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে, আসামি পাপিয়া ও তাঁর স্বামী সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্য।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পাপিয়া (২৮), তাঁর স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন (৩৮), তাঁদের সহযোগী সাব্বির খন্দকার (২৯) ও শেখ তায়্যিবাকে (২২) গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা পালিয়ে যাচ্ছিলেন। অবৈধ অস্ত্র ও মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, অনৈতিক কর্মকাণ্ড, জাল নোট সরবরাহ, রাজস্ব ফাঁকি, অর্থ পাচারসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা জানান, ২০০৬ সালে নরসিংদী সরকারি কলেজে পড়ার সময় পাপিয়ার সঙ্গে সুমনের সম্পর্ক হয়। ২০০৯ সালে তাঁরা বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই তাঁরা স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। ২০১০ সালে নরসিংদী শহর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক করা হয় পাপিয়াকে। সর্বশেষ ২০১৮ সালে তাঁকে জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক করা হয়। গ্রেপ্তারের পর পাপিয়াকে যুব মহিলা লীগ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়।