Site icon The Bangladesh Chronicle

পাকিস্তানে ভোটের ফলে হতাশ তিন দলীয় প্রধানের পদত্যাগ

পদত্যাগ করা তিন রাজনীতিক—জামায়াতে ইসলামীর আমির সিরাজুল হক, আইপিপির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর তারিন ও পিটিআই-পির সেন্ট্রাল চেয়ারম্যান পারভেজ খটক
পদত্যাগ করা তিন রাজনীতিক—জামায়াতে ইসলামীর আমির সিরাজুল হক, আইপিপির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর তারিন ও পিটিআই-পির সেন্ট্রাল চেয়ারম্যান পারভেজ খটকফাইল ছবি: এক্স থেকে নেওয়া

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে হতাশাজনক ফল করার পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক তিনটি দলের প্রধানেরা গতকাল সোমবার পদ ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁদের দুজন শুধু দলীয় প্রধানের পদ নয়, রাজনীতিও ছেড়েছেন।

এই তিন রাজনীতিক হলেন ইস্তেহকাম-ই-পাকিস্তানের (আইপিপি) প্রধান জাহাঙ্গীর তারিন, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্লামেন্টারিয়ানের (পিটিআই-পি) কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান পারভেজ খটক ও জামায়াতে ইসলামীর আমির সিরাজুল হক।

তাঁদের মধ্যে জাহাঙ্গীর তারিন ও পারভেজ খটক জানিয়েছেন, তাঁরা আর রাজনীতি করবেন না।

জাহাঙ্গীর তারিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট দিয়েছেন। এ পোস্টে তিনি এবারের নির্বাচনে তাঁর বিজয়ী প্রতিদ্বন্দ্বীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে শুভাকাঙ্ক্ষী ও নিজের সমর্থকদের ধন্যবাদ দিয়েছেন।

পোস্টে জাহাঙ্গীর তারিন আরও বলেন, তিনি আইপিপির চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে রাজনীতিও ছাড়ছেন। তবে দেশের সমৃদ্ধির জন্য ব্যক্তিগত পর্যায়ে কাজ করে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন এই রাজনীতিক।

ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সাবেক নেতা জাহাঙ্গীর তারিন মুলতান থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। পিটিআই-সমর্থিত মালিক আমির দোগারের কাছে তিনি হেরেছেন।

এ ছাড়া নিজের জন্মশহর লোধরানেও ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন জাহাঙ্গীর তারিন। হেরেছেন নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রার্থী খান মোহাম্মদ সিদ্দিকীর কাছে।

এক্সে অপর এক পোস্টে জামায়াতের আমির সিরাজুল হক লেখেন, ‘নির্বাচনে ভরাডুবির দায় স্বীকার করে নিচ্ছি। সেই সঙ্গে দলীয় প্রধানের পদ ছেড়ে দিচ্ছি।’

খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের লোয়ার দির আসন থেকে ভোটের লড়াইয়ে নেমে হেরেছেন সিরাজুল হক। সেখানে জয়ী হয়েছেন পিটিআই-সমর্থিত বশির খান।

নির্বাচনী প্রচারের সময় থেকে পারভেজ খটক নিজেকে খাইবার পাখতুনখাওয়ার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দাবি করে আসছিলেন। কিন্তু ভোটের লড়াইয়ে আশানুরূপ ফল করতে পারেননি। মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসার আশায় থাকা খটক এখন রাজনীতি থেকেই বিদায় নিলেন।

প্রথম আলো

Exit mobile version