পাকিস্তানে শুক্রবারের আত্মঘাতি বোমা বিস্ফোরণে পেছনে ভারতী গোয়েন্দা সংস্থা জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন কর্মকর্তারা। ওই বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৯ জনে পৌছেছে। এর সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার অঙ্গীকার করেছেসরকার।
দক্ষিণাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশের মাস্তুং জেলা একটি মসজিদের কাছে ঈদে মিলাদুন্নবী সা. উপলক্ষে র্যালির প্রস্তুতিকালে বিস্ফোরণটি ঘটে। বিস্ফোরণে মসজিদটি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের কর্মকর্তার বহুদিন ধরেই দেশটিতে ভারতীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সহিংস গ্রুপ সক্রিয় আছে বলে অভিযোগ করছেন, যদিও ভারত সব সময়ই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটায় সাংবাদিকদের বলেন, মুস্তাংয়ের আত্মঘাতি বোমা হামলায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বেসামরিক ও সামরিকসহ সব ধরণের প্রতিষ্ঠান এক যোগে কাজ করবে।ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, র এই আত্মঘাতি হামলায় জড়িত।
তবে এ বিষয়ে কোন বিস্তাতির তথ্য বা প্রমাণ দেননি পাকিস্তান সরকারের এই মন্ত্রী। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিংবা সরকারের মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্য জানাতে রয়টার্সের তাৎক্ষণিক অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
প্রাথমিকভাবে ওই বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা ৫২ জন জানানো হয়েছিলো। তবে বেলুচিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াসিম বেগ জানিয়েছেন, শুক্রবার হাসপাতালে নেয়ার পর আরো ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরো অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
একই দিন উত্তর খাইবার পাখতুন খোয়ায় আরেকটি মসজিদে হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত ৫ জন। পুলিশ বলছে, তারা হামলাকারীর ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন।
কোন গ্রুপ এখন পর্যন্ত এসব হামলার দায় স্বীকার করেনি। রয়টার্স বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় মিলিশিয়াদের হামলায় দেশটির জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির ওপর প্রভাব পড়ছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হামলা হচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর। ২০০৭ সালে গঠিত পাকিস্তানি তালেবান হিসেবে খ্যাত চরমপন্থী গ্রুপ টিপিপিকে বেশিরভাগ হামলার জন্য দায়ী করা হয়।