Site icon The Bangladesh Chronicle

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

কূটনৈতিক রিপোর্টার

(৪১ মিনিট আগে) ২৩ আগস্ট ২০২৫, শনিবার, ২:২২ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ২:৩৩ অপরাহ্ন

পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ঢাকায় পৌঁছেছেন। শনিবার দুপুর ২টায় বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম অতিথিকে বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। এর আগে শুক্রবার বিকেলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে ইসহাক দারের ঢাকা সফরের এ তথ্য জানা যায়।

কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর আজ নিজের মতো করে কাটাবেন। হাইকমিশন তার কর্মসূচী ঠিক করেছে। কাল থেকে শুরু হবে সরকারি কর্মসূচী। দিনের শুরুতে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় বসবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে। এদিন বিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করবেন ইসহাক দার।

হাইভোল্টেজ এই সফর নিয়ে কূটনৈতিক অঙ্গনে অন্তহীন কৌতুহল। বিশেষ করে ইসলামাবাদের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক থাকা নয়াদিল্লির তীক্ষ্ণ নজর রয়েছে এই সফরে। বোদ্ধারা জানা-বোঝার চেষ্টা করছেন একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজিত পাকিস্তানের সঙ্গে জয়ী তথা স্বাধীন বাংলাদেশের আলোচনায় কি বার্তা বিনিময় হবে?

স্মরণ করা যায়, গত ১৫ বছর পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ক্রমে তলানিতে গিয়ে ঠেকে। ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ই আগস্ট হাসিনা সরকারের পতন হয়। সেই থেকে দুনিয়ার অন্য দেশের মতো পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করে। সেই ধারাবাহিতায় গত এপ্রিলে ঢাকায় বৈঠকে বসেন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে পররাষ্ট্র সচিবদ্বয়। সেই বৈঠকের ৯ দিন পর পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের ঢাকায় আসার কথা ছিল। কিন্তু কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার জেরে সফরটি শেষ মুহূর্তে স্থগিত হয়ে যায়। এরপর ৩ দফা তারিখ হয়েছে, কিন্তু সফর হয়নি। স্থগিত হওয়া সফরেই শনিবার ঢাকা এলেন ইসহাক দার।

কূটনৈতিক সূত্র বলছে, হাই-প্রোফাইল এই সফরে ইসহাক দার বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এরই অংশ হিসেবে তিনি বিএনপি’র চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার গুলশানের বাসায় দেখা করতে যাবেন। পাশাপাশি জামায়াতসহ অন্যান্য ইসলামী দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গেও তার সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

এ সফরে দুই দেশের মধ্যে পাঁচ থেকে ছয়টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হতে পারে।

Exit mobile version