আয়োজকেরা জানিয়েছেন, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিসহ ৪০টি দেশের প্রতিনিধি এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেবেন। ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো পুনর্নির্মাণে পাকিস্তান এ সম্মেলন থেকে আনুমানিক ১ হাজার ৬৩০ কোটি ডলারের সহায়তা চাইবে।
এদিকে বৈঠকের এক ফাঁকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধি দল পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইশাক দারের সঙ্গে বৈঠক করবে। আইএমএফের এক মুখপাত্র রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন। গত নভেম্বর মাসে আইএমএফের কাছ থেকে পাকিস্তানের ১১০ কোটি ডলার ঋণ পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নানা শর্তের বেড়াজালে সেই কিস্তি আটকে আছে। আইএমএফ এখনো তা ছাড় করেনি। এতে দেশটির এখন ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচির’ মতো অবস্থা।
পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইশাক দার সম্প্রতি প্রকাশ্যে আইএমএফের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানের ঋণ ছাড়ের আলোচনায় আইএমএফ অস্বাভাবিক আচরণ করছে। অথচ ২০১৯ সালে আইএমএফ পাকিস্তানকে ৭০০ কোটি ডলার বেইল আউট দিতে রাজি হয়।
এদিকে আইএমএফের মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, চলমান জেনেভা সম্মেলন ও পুনর্গঠন কর্মসূচি নিয়ে আইএমএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে তাঁর ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
খাদ্যসংকট
পাকিস্তানের সামষ্টিক অর্থনীতির সংকটের প্রভাবে খাদ্যসংকট তৈরি হয়েছে। দেশটির বাজারে হাজার হাজার রুপিতে বিক্রি হচ্ছে আটার বস্তা। আটার কারখানা ও পাকিস্তানের খাদ্য দপ্তরের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবের কারণেই সংকট তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ থেকে গমের জোগানও কমেছে। সে কারণে সরকারি দোকান থেকে ভর্তুকিতে গমের বস্তা কিনতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সম্প্রতি এভাবে গম নিতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মারা গেছেন একজন।
দ্য ডনের সংবাদ, লাহোরে ১৫ কেজি আটার ব্যাগ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০ রুপিতে। গত দুই সপ্তাহে ১৫ কেজি আটার বস্তার দাম বেড়েছে ৩০০ রুপি। ইতিহাসে এই প্রথম পাকিস্তানে ২০ কেজি আটার বস্তার দাম হয়েছে ৩ হাজার রুপি। করাচি শহরে ১ কেজি আটার দাম ১৫০ রুপি। গত কয়েক সপ্তাহে সেখানে ২০ কেজি আটার বস্তার দাম বেড়েছে ৪০০ রুপি। হায়দরাবাদে ২০ কেজি আটার বস্তার দাম ২ হাজার ৮৮০ রুপি আর পেশোয়ারে ২ হাজার ৬৫০ রুপি।