ঢাকা
পর্যটন ও কৃষি খাতে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার সুদর্শন সেনেভিরত্নে। আজ রোববার দুপুরে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য কর অবকাশসহ আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে তাঁর দেশ। তাই শ্রীলঙ্কার বিপুল অনাবাদি কৃষিজমিতে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারবেন বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা।
দেশটির পর্যটন ও শিপিং খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশের সহযোগিতা চেয়ে রাষ্ট্রদূত সুদর্শন সেনেভিরত্নে বলেন, কলম্বো বন্দরে এখন আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন চারটি পোতাশ্রয় আছে। বাংলাদেশ এর সুবিধা নিতে পারে। এ জন্য পণ্যবাহী বিদেশগামী জাহাজগুলো কলম্বো হয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ঋণে জর্জরিত হয়ে বর্তমানে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট পার করছে দক্ষিণ এশিয়ার একসময়ের অন্যতম শক্তিশালী দেশ শ্রীলঙ্কা। জ্বালানি তেলসংকটের পাশাপাশি দেশটিতে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম। এতে জনবিক্ষোভ তৈরি হয়েছে সেখানে। বিক্ষোভ ঠেকাতে সম্প্রতি জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। মাঠে নামানো হয়েছে সেনাবাহিনী। এমন পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার দেশটিতে বিনিয়োগের আহ্বান জানালেন।
বৈঠকে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন দুই দেশের মধ্যে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি করার প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, এই চুক্তি করা গেলে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানো সহজ হবে। বাংলাদেশের বেশির ভাগ বাণিজ্য হয় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে, অথচ প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ব্যবসা করা বেশি লাভজনক।
জসিম উদ্দিন আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (সাফটা) কার্যকর হলে আঞ্চলিক বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি পেত। এ বিষয়ে দেশগুলোর গুরুত্ব দেওয়া দরকার। পাশাপাশি সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও কথা বলেন তিনি।
সভায় বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে নার্সিং প্রশিক্ষণবিষয়ক যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের প্রস্তাব দেন এফবিসিসিআই পরিচালক প্রীতি চক্রবর্তী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি হাবিব উল্লাহ্ ডন, পরিচালক শমী কায়সার, নাদিয়া বিনতে আমীন ও মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।