পঁচাত্তরে যেমন ছিল বাংলাদেশ
স্মলম্যান বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার হিসেবে ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। স্মলম্যান এই বিশ্লেষণটি হয় হাইকমিশনার হিসেবে তাঁর রুটিন কাজের অংশ হিসেবে করেছিলেন অথবা ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের কোনো বিশেষ অনুরোধেও তা করে থাকতে পারেন। যা-ই হোক, ‘বাংলাদেশ: ফার্স্ট ইমপ্রেশনস’ (বাংলাদেশ সম্পর্কে তাঁর প্রাথমিক ধারণা) শীর্ষক ওই প্রতিবেদনটিকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছিল। স্মলম্যানের রিপোর্টটি রীতিমতো একটা সাড়া ফেলে দিয়েছিল। হতে পারে সমাজতান্ত্রিক ধাঁচের শাসনব্যবস্থায় গিয়ে মুজিব বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন, সে ব্যাপারে পেশাদার কূটনীতিকদের মধ্যে তখন বেশ কৌতূহল তৈরি হয়েছিল।
১৯৭৫ সালের ১৮ এপ্রিল লেখা এই প্রতিবেদনটির প্রথম ১৪ পৃষ্ঠা আমরা সংগ্রহ করতে পেরেছি। প্রতিবেদনটি পাওয়ার পর ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের এন ডব্লিউ ব্রাউনি একই বিভাগের আই জে ও’নেইলকে লিখেছিলেন, স্মলম্যানের এই প্রতিবেদনটির সাধারণ বিতরণের জন্য আমি ছাপাতে দিচ্ছি। পরে ১৯৭৫ সালের ২০ জুন স্মলম্যানকে লেখা এক চিঠিতে ও’নেইল লিখেছেন, ‘একজন নবাগত (সম্ভবত দক্ষিণ এশিয়া বিভাগে) হিসেবে আমি বাংলাদেশ প্রসঙ্গে সবচেয়ে প্রাণবন্ত ও দরকারি প্রতিবেদন পেলাম। বর্তমানের বিষণ্ন পরিস্থিতি থেকে দেশটির উঠে আসার যে বিরাট সম্ভাবনা আছে, সেটিও এতে ফুটে উঠেছে এবং আমি অত্যন্ত আগ্রহভরে আপনাকে জানাচ্ছি যে আপনি যেভাবে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেছেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সেভাবে অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আপনার রিপোর্ট খুব আগ্রহের সঙ্গে গোটা অফিস পড়েছে।’
ও’নেইল আরও লিখেছেন, ‘আপনি এটা জানিয়ে আমাদের বাধিত করবেন যে বর্তমানে বাংলাদেশে আমাদের যেসব এইড কর্মসূচি চালু রয়েছে, তাতে কী ধরনের পরিবর্তন আনা সম্ভব। তাহলে আমরা বৈদেশিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলতে পারি। আমি একমত যে বাংলাদেশ সরকারযন্ত্রের সঙ্গে আমরা একটি অসংযত টানাপোড়েন তৈরি করেছি এবং লন্ডনের চলতি ফ্যাশন হচ্ছে প্রকল্প সাহায্যদানের বিরোধিতা করা। দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের মতো দ্রুত ও দৃশ্যমান সাফল্য অর্জনের চেষ্টার চেয়ে আমাদের উচিত দীর্ঘমেয়াদি ও সুচিন্তিত প্রকল্পের দিকে মনোযোগ দেওয়া।’
স্মলম্যান রিপোর্টের সংক্ষিপ্তসার
এক. বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ নামটি দুর্যোগময় হিসেবে পরিচিত এবং তথ্যাবলি যথেষ্ট মলিন। কিন্তু ভেতর থেকে দেখলে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত। অনেক ইতিবাচক বিষয় রয়েছে। তবে পরিস্থিতি উন্নয়নের চাবি বাঙালিদের হাতেই।
দুই. প্রধান সমস্যা হলো, অনেক মানুষ ও খুবই কম সম্পদ। ভালো ফসলের জন্য সেচই মুখ্য। কিন্তু বৃহৎ প্রকল্পগুলো স্থানীয়ভাবে বিশৃঙ্খলা ও অবহেলার শিকার। কিন্তু তা সত্ত্বেও খাদ্যে স্বয়ম্ভরতা অর্জন করা আয়ত্তের মধ্যেই আছে এবং খাদ্য ও অন্যান্য শস্য উৎপাদনে সরকার যেভাবে জনগণকে উৎসাহ দিচ্ছে, তারও কিছু ভালো প্রভাব রয়েছে। স্বনির্ভর গ্রাম প্রতিষ্ঠার জন্য শেখ মুজিবুর রহমানের ঘোষিত নতুন ‘মহাপরিকল্পনা’ ফল দিতে পারে। রাজনৈতিকভাবে তারা আড়াই কোটি মানুষকে সাহায্য করতে পারে।
তিন. বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির কারণে অর্থনীতি দুর্বল। পাট উৎপাদন ও রপ্তানি কমেছে। চা উৎপাদনে গতি আসছে। উৎপাদন-সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতার কারণে শিল্পে বিঘ্ন ঘটছে। গুরুতর মুদ্রাস্ফীতি সব শ্রেণিকে স্পর্শ করেছে। তবে এখন পর্যন্ত টাকার অবমূল্যায়নকে ঠেকিয়ে রাখা গেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক কালের মুদ্রার নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের কারণে জিনিসপত্রের দাম কমেছে। আর নির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য এটা হলো একটি উত্তম পদক্ষেপ।
চার. সাহায্য ও অভিবাসনই হলো এই মুহূর্তে বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনের মুখ্য উদ্বেগ। আমাদের বর্তমান সাহায্যনীতি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে চালিত। কিন্তু উচ্চমানসম্পন্ন কোনো প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা বাংলাদেশের প্রশাসনিক যন্ত্রের জন্য খুব কঠিন বিষয় বটে। ব্রিটিশদের অনেকের মধ্যে এসব নিয়ে হতাশা রয়েছে। ব্যবসায়ীদের মধ্যেও সমস্যা আছে।
পাঁচ. অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলোর আলোকে বৈদেশিক সম্পর্ককে দেখা চলে। রাষ্ট্রপতি (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব), যিনি মনেপ্রাণে গণতন্ত্রী, তিনি জানেন কোন বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, তিনি কি সেসব অগ্রাধিকার বাস্তবায়নে একটি কার্যকর ও যথেষ্ট সংকল্পবদ্ধ কোনো রাজনৈতিক হাতিয়ার গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন? দলের (বাকশাল) মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের অবস্থান কী হবে? জনজীবনকে অধিকতর সহনীয় করে তুলতে জনগণ তাঁকে হয়তো এক বা দুই বছর সময় দেবে। যদি তিনি ব্যর্থ হন, তাহলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু এরপরও সামনের বছরটি ইতিবাচক হতে পারে।
১৯৭৫ সালের ১৮ এপ্রিল। তখন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন জেমস কালাহান। লেবার পার্টির এই রাজনীতিক ১৯৭৬ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। হাইকমিশনার স্মলম্যান ১৮ এপ্রিল তাঁর ওই ‘ফার্স্ট ইমপ্রেশন’ রিপোর্টটি পাঠাতে গিয়ে একই সঙ্গে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কালাহানকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। তিনি তাঁকে লিখেছিলেন, তিন মাস আগে (জানুয়ারি) আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে আমার পরিচয়পত্র পেশ করেছিলাম। তিনি বলেছিলেন, তিনি দ্বিতীয় বিপ্লব এবং একদলীয় সরকারব্যবস্থা করতে যাচ্ছেন। শেখ মুজিবুর রহমান দাবি করেছিলেন, তিনি উত্তরাধিকার সূত্রে এমন একটি সরকার ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা পেয়েছেন, যা থেকে উদ্ভূত পাহাড়সমান সমস্যা কাটিয়ে উঠতে তাঁকে এ ব্যবস্থায় যেতে হচ্ছে। আমরা এখন ভালো কিছু ঘটার অপেক্ষায় আছি। আমার পূর্বসূরি বলেছেন, তিনি ফার্স্ট ইমপ্রেশন রিপোর্ট লিখে যেতে পারেননি। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের সাড়ে তিন বছর বন্যা ও দুর্ভিক্ষের মধ্য দিয়ে গেছে। ফলে এটা অবাক হওয়ার মতো নয় যে বাইরের দুনিয়ার মানুষ বাংলাদেশের জনগণের এসব কষ্ট ও দুর্দশাকে বিবেচনায় নেওয়ার চেয়ে দেশটিকে একটি ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ হিসেবেই দেখবে।
স্মলম্যান এরপর লিখেছেন, কিন্তু সরেজমিনে বাংলাদেশ থেকে কি অনুভব করা যায়? সেখানে কি কোনো আশা আছে, নাকি আমরা সবাই চূড়ান্ত বিচারে একটি অসম্ভব উদ্ধার অভিযানে নেমেছি?
বাংলাদেশ তার আমদানির ৭০ ভাগের জন্যই বিদেশি সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল। সহায়-সম্পদ বলতে সামান্য বা নেই। ৮৫ ভাগ মানুষের বাস গ্রামে, তাদের কয়েক লাখ টন খাদ্যশস্য দরকার। তারা খরা ও বন্যার দয়ায় বেঁচে থাকে। সাড়ে সাত কোটি মানুষের মধ্যে অর্ধেকের বয়স ১৬ বছরের নিচে। ৮০ ভাগ অশিক্ষিত। ৩০ ভাগ ভূমিহীন। আগামী ২৩ বছরে (১৯৯৮) দেশটির লোকসংখ্যা ১৫ কোটি হবে। কিন্তু আশাবাদের অনেক জায়গা আছে। বন্যা বাংলাদেশের মাটিকে করেছে উর্বর। তারা এমনকি নিজেদের খাদ্যের চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত ফসল উৎপন্ন করতে পারে। তাদের প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত আছে। তারা চাহিদা অনুসারে সার উৎপাদন করতে পারে। এমনকি তাদের তেল পাওয়ার সম্ভাবনাও আছে।
আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দাতা দেশগুলো ব্যাপকভিত্তিক সহায়তা ও প্রকল্প সাহায্য দিতে প্রস্তুত আছে। অদক্ষতা, দুর্নীতি ও আশাভঙ্গের বিষয় রয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে শেখ মুজিবের বাংলাদেশে আছে উৎসাহ-উদ্দীপনা, সততা এবং নতুন দেশ গঠনের জন্য দৃঢ়সংকল্প, যে দেশের জন্য তাঁদের অনেকেই যুদ্ধ করেছেন এবং এখানে আমি আরও একটি বিষয় জোর দিয়ে বলব, যুদ্ধ যে কতটা ধ্বংসযজ্ঞ রেখে গেছে, সেটা কারও খাটো করে দেখা উচিত নয়। সমাজে এমন লোকও রয়েছেন, যাঁরা উভয় পক্ষের মধ্যে একটা ভারসাম্য বজায় রাখতে পারেন। তবে শেষ বিচারে ঝোঁকটা তাঁরা কোন দিকে রাখবেন, সেটা বাঙালিদের ওপরই নির্ভর করে।
স্মলম্যানের চোখে বঙ্গবন্ধু সরকারের আরও যেসব ইতিবাচক দিক ধরা পড়েছে, তা তিনি লিখেছেন এভাবে, জমি এতটাই উর্বর যে একটি-দুটি এমনকি তিনটি ফসল উঠতে পারে। সরকার খাদ্যশস্য উৎপাদন বাড়াতে সব রকম উৎসাহ ও পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। মুজিব সরকার ১৯৭৮ সালের মধ্যে খাদ্যে স্বয়ম্ভরতা অর্জনের লক্ষ্য স্থির করেছে। আমি মনে করি, এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব।
স্মলম্যানের বক্তব্য থেকে এটা পরিষ্কার যে তিনি পঁচাত্তর সালে বাংলাদেশের সক্ষমতা সম্পর্কে এতটাই নিঃসন্দেহ ছিলেন যে বাংলাদেশে খাদ্যসহায়তা পর্যায়ক্রমে কমানোর সুপারিশ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু তখন বাধ্যতামূলক সমবায় প্রবর্তন করেছিলেন।
স্মলম্যান লিখেছেন, এই সমবায় হতে পারে একটি যথার্থ সমাধান। আমি রংপুরে একটি ‘স্বয়ংসম্পূর্ণ’ গ্রাম পরিদর্শন করেছি। এটা আমাকে মুগ্ধ করেছে। কৃষকেরা যৌথভাবে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যশস্য উৎপাদন করেছেন এবং গ্রামে যে কমিটি ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেই কমিটিতে দেখলাম, গ্রামের সিদ্ধান্ত অনুসারে ভূমিহীন কৃষক ও নারী রয়েছেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা নিয়েও গ্রামবাসীর স্বাভাবিক উদ্বেগ রয়েছে। যদিও আমি যে গ্রামে গিয়েছি, তা একটি মডেল গ্রাম। গ্রামটি সমৃদ্ধ, শিশুরা হৃষ্টপুষ্ট এবং আশপাশের গ্রামগুলো এ ব্যবস্থাকে নকল করে চলছিল।
স্মলম্যান দেখেন, চালের কেজি আট টাকা, যা কিনা আগের চেয়ে তিন গুণ বেশি। এটা কৃষকের জন্য সমস্যা না হলেও ভূমিহীন ও কিছু শহুরে মানুষের জন্য একটি চাপ। অন্য একটি গ্রামের এক তাঁতি তাঁকে বলেন, আট ঘণ্টায় তিনি দুটি লুঙ্গি বানাতে পারেন। ভাগ্য ভালো হলে তিনি দুটিতে ছয় টাকা লাভ করতে পারেন। মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশ ঘটলেও কোনো বাঙালির মাসিক গড় আয় দুই হাজার টাকার বেশি নয়। কোনো জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা যদি সৎ থাকতে চান, তাঁকে কঠিন সময় পার করতে হচ্ছে। তাঁকে কোনো আন্তর্জাতিক চাকরির দিকেই নজর দিতে হচ্ছে। পরিকল্পনা কমিশনের একজন কর্মকর্তা বলেন, কোনো খাবারের আমন্ত্রণ তাঁর পক্ষে নাকচ করা কঠিন।
স্মলম্যান এরপর লেখেন, শেখ মুজিব তাঁর সাম্প্রতিক স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে বলেছেন, সমগ্র দেশে সমবায় সমিতি হবে। আর এগুলো হবে চাল উৎপাদনকেন্দ্র। স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ও স্বনির্ভরতার মধ্য দিয়ে তিনি অর্জন করতে চান তাঁর ‘নিপীড়িতের গণতন্ত্র’।
বঙ্গবন্ধু ও ১৯৭৫ সালের বাংলাদেশ সম্পর্কে স্মলম্যানের বর্ণনা নানা কারণে অনবদ্য ও গুরুত্বপূর্ণ। এর পরতে পরতে বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাঁর গভীর মমতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। তার এই অবস্থান আমাদের মার্কিন কনসাল আর্চার ব্লাডের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। সেই ষাটের দশকে ব্লাড যেমন, তেমনি বাঙালির সামনে এক উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন এঁকেছেন স্মলম্যান।
তাঁর এ কথাটি দিয়ে শেষ করি। তিনি লিখেছিলেন, গ্রামেই শেখ মুজিবের শিকড় বিস্তৃত। স্মলম্যানের ভাষায়, নিশ্চিতভাবেই সেখানেই (গ্রামে) তাঁর কিছু একটা আছে। সেটা কৃষিগত এবং রাজনৈতিক উভয় দিক থেকেই। আড়াই কোটি ভূমিহীন ও ছিন্নমূল মানুষকে সমবায়ে অন্তর্ভুক্ত করার মধ্য দিয়ে তিনি তাদের পুনর্বাসনের প্রয়োজনীয়তাকেই স্বীকার করেছিলেন। বর্তমানে চীনা স্টাইলে কাজের বিনিময়ে খাদ্য ভালোই চলছে, কিন্তু মুজিব জানেন যে ভবিষ্যতের সংকট এড়াতে ভূমিহীনদের জমি এবং গ্রামীণ সমাজে তাদের অধিকার ও স্বত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
মিজানুর রহমান খান : প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক
mrkhanbd@gmail. com