নেত্র নিউজের তথ্যচিত্র ‘আয়নাঘরের বন্দী’ জিতলো গ্লোবাল শাইনিং লাইট অ্যাওয়ার্ড

logo

মানবজমিন ডেস্ক

২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শুক্রবার

অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বিষয়ক বিশ্বের সর্ববৃহৎ সম্মেলন ‘গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম কনফারেন্সে’ মর্যাদাপূর্ণ গ্লোবাল শাইনিং লাইট অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছে নেত্র নিউজের তথ্যচিত্র ‘আয়নাঘরের বন্দী’। ছোট ও মাঝারি সংবাদমাধ্যমের ক্যাটাগরিতে নেত্র নিউজ জিতেছে ‘সার্টিফিকেট অব এক্সেলেন্স’ পুরস্কার। শুক্রবার এক ফেসবুক পোস্টে এ খবর দিয়েছে সুইডেনভিত্তিক গণমাধ্যমটি।

ওই পোস্টে জানানো হয়েছে, এই দ্বিবার্ষিক সম্মেলনটির এবারের সংস্করণ অনুষ্ঠিত হয়েছে সুইডেনের গোথেনবার্গ শহরে। ১৩৫টি দেশের অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সংগঠন ‘গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম নেটওয়ার্ক’ বা জিআইজেএন এই সম্মেলনটি আয়োজন করে থাকে। সারাবিশ্বে ছড়িয়ে থাকা দুই হাজারেরও বেশি অনুসন্ধানী সাংবাদিক এবারের সম্মেলনে যোগ দেন।

২০০৭ সালে চালু হওয়ার পর থেকে এই প্রথম কোনো বাংলাদেশ বিষয়ক সংবাদমাধ্যম এ পুরস্কারটি পেল। নেত্র নিউজের ওই তথ্যচিত্র সম্পর্কে এক বিচারক বলেন, এই প্রতিবেদনটি যেকোনো মানদণ্ডেই বাংলাদেশি সাংবাদিকতার সবচেয়ে সাহসী উদাহরণ। বড় সংবাদমাধ্যমগুলোর মধ্যে একই পুরস্কার পেয়েছেন ইউক্রেনের রেডিও লিবার্টির একদল সাংবাদিক, যারা রাশিয়ার দখল থেকে মুক্ত হওয়া একটি অঞ্চলে একটি গণকবরের সন্ধান পান।

বিশ্বের ৮৪টি দেশ থেকে জমা পড়া ৪০০টিরও অধিক আবেদন থেকে বিচারকরা ১২টি প্রতিবেদনকে ফাইনালিস্ট হিসেবে নির্বাচন করেন। সেখান থেকে দুইটি ক্যাটাগরিতে তিনটি করে প্রতিবেদনকে সম্মেলনে পুরস্কৃত করা হয়। নেত্র নিউজ ছাড়া ছোট ও মাঝারি ক্যাটাগরিতে দুই যৌথ পুরস্কার বিজয়ী প্রতিবেদন ছিলো মেসিডেনিয়ার ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টিং ল্যাবের করা ‘ব্যাড ব্লাড’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন ও দক্ষিণ আফ্রিকার ভিউ ফাইন্ডারের করা ‘অ্যাভোব দ্য ল’ শীর্ষক আরেকটি প্রতিবেদন।
পোস্টে জানানো হয়, নেত্র নিউজের পক্ষে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন এডিটর-ইন-চিফ তাসনিম খলিল ও সাংবাদিক নাজমুল আহসান। সাংবাদিক জুলকারনাইন সামি ও ডেভিড বার্গম্যানসহ মোট আট জন সাংবাদিক প্রতিবেদনটি প্রস্তুতে সহায়তা করেছেন।

পাঠকের মতামত

মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

সাহসী সাংবাদিকরা পুরুষ্কৃত হবে এটাই প্রততাশীত।

বাহাউদ্দীন বাবলু
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ৫:৫৪ অপরাহ্ন

অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা আপামর জনসাধারণের জন্য একটি আশীর্বাদ। দুর্নীতিসহ সমাজের অসঙ্গতি তুলে আনে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা। এর গুরুত্ব অপরিসীম। মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর একটি খবর। খবরটি বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী সম্পর্কে। হারিছ চৌধুরী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ছিলেন। এক এগারো এর পটপরিবর্তনের সময় তিনি আত্মগোপনে চলে যান। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার। আরো কয়েকটি মামলাও ছিলো তাঁর বিরুদ্ধে। দীর্ঘ চৌদ্দ বছর ধরে হারিছ চৌধুরী গোয়েন্দাদের চোখে ধূলো দিয়ে কিভাবে ঢাকার পান্থপথে আত্মগোপন করে ছিলেন তা এক রহস্যই বটে। এই রহস্যের জট খুলেছিলেন ঢাকার সিনিয়র অনুসন্ধানী সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরী। মতিউর রহমান চৌধুরীর অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে আসে হারিছ চৌধুরী নাম বদল করে মাহমুদুর রহমান পরিচয়ে ঢাকার পান্থপথে বহাল তবিয়তেই ছিলেন। এলাকার সবাই জানতো তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। স্বাভাবিক জীবনযাপন করতেন। যে কারণে কারো কোন সন্দেহ হয়নি। এখন পিলে চমকে দেয়ার মতো চাঞ্চল্যকর যে প্রতিবেদন নেত্র নিউজ প্রকাশ করেছে, তা কি করে সম্ভব ভাবতে গিয়ে ভীমড়ি খাওয়ার মতো অবস্থা। নেত্র নিউজ পুরুষ্কৃত হয়েছে তার অত্যন্ত কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ অনুসন্ধানের জন্য। কিন্তু, আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কাছে এ এক বিস্ময়। ‘আয়না ঘর’ কি বাস্তব? নাকি কল্পনা। সে যাই হোক, যেসব মায়ের বুক হাহাকার করছে, যেসব বধূর বুকে চাপাকান্না, যেসব শিশু বেড়ে ওঠার আগেই অজানা ভয়ে দিশেহারা, তাঁদের এঅবস্থার অবসান হোক। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা চিরজীবী হোক।

আবুল কাসেম
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ২:৩১ অপরাহ্ন

অভিনন্দন। প্রমাণিত হয়েছে প্রতিবেদন টি সঠিক ছিল।

abdul wohab
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ৭:৫৬ পূর্বাহ্ন