Site icon The Bangladesh Chronicle

নিষেধাজ্ঞার কারণে সরন্জাম আমদানি আটকে গেছে র‌্যাবের।

Defence Research Forum-Defres (from their Facebook entry)
নিষেধাজ্ঞার কারণে সরন্জাম আমদানি আটকে গেছে র‌্যাবের।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ফলে কোনো কিছু আমদানি করতে পারছে না র‌্যাব।আগেই খোলা এলসি বিপরীতে কেনা যন্ত্রপাতি তৈরি অবস্থায় থাকলেও তা দেশে আনা যাচ্ছে না। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত র‌্যাবের নামে আর নতুন করে এলসি খোলাও যাবে না।
পুরোনো ৯টি এলসি নিয়ে সমস্যায় পড়েছে র‌্যাব। এর মধ্যে দুটি এলসির বিপরীতে সাইপ্রাস থেকে ২১ কোটি টাকার ‘নজরদারি যন্ত্রপাতি’ প্রস্তুত রয়েছে কিন্তু আনা সম্ভব হচ্ছে না। অন্য দুটি এলসির বিপরীতে ৩২ কোটি টাকার একই যন্ত্রপাতি দেশে এলেও বিল পরিশোধ করা যাচ্ছে না। আরও পাঁচটি এলসি নিয়ে প্রায় একই রকম সমস্যায় পড়েছে সংস্থাটি।
র‌্যাবের যে ৯টি এলসির দায় পরিশোধে সমস্যা হয়েছে, তার মধ্যে চারটির বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে। এ তালিকায় রয়েছে-
১।মোবাইল কমিউনিকেশন অ্যানালাইজার।
২।ব্যাকপ্যাক আইএমএসআই ক্যাচার।
৩।জিএসএম ইউএমটিএস ভেহিকুলার সাপোর্ট সিস্টেম।
৪। ব্রেইন ফিঙ্গারপ্রিন্ট।
সাধারণভাবে মোবাইল ফোনে নজরদারি, ব্যক্তির অবস্থান শনাক্তের কাজে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এসব প্রযুক্তিপণ্য ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে প্রথম তিনটি পণ্যের উৎপাদনকারী দেশ সাইপ্রাস। তবে পণ্য আসার কথা সিঙ্গাপুর থেকে। শেষ পণ্যটির জন্য এলসি খোলা হয়েছে যুক্তরাজ্যের সরবরাহকারীর অনুকূলে। এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি, চীনের দুটি এবং অস্ট্রেলিয়ার একটি এলসির ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানার সোনালী ও জনতা ব্যাংকে এলসি খোলা হয়েছিল। সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, র‌্যাবের পণ্য আমদানির এলসির বিল পরিশোধ করতে না পারার বিষয়টি তারা এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানিয়েছেন। তবে বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে বিকল্প কোনো উপায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের জানায়নি। নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে বিদ্যমান নীতিমালা অনুসরণ করতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অর্থ পরিশোধ করলে সেই ব্যাংকও কালো তালিকায় পড়ার আশঙ্কা থাকে।
১৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে মোবাইল কমিউনিকেশন অ্যানালাইজার কিনতে এলসি খোলা হয়।ব্যাকপ্যাক আইএমএসআই ক্যাচার কিনতে দুই কোটি ৯৯ লাখ টাকার এলসি খোলা হয়।জিএসএম ইউএমটিএস ভেহিকুলার অ্যাকটিভ সাপোর্ট সিস্টেম কিনতে এলসি মূল্য ছিল ২৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।যুক্তরাজ্য থেকে ‘ব্রেইন ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ কিনতে দুই কোটি ৩৭ লাখ টাকায় এলসি খোলা হয়।(দেশে চলে এসেছে)।
র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সমকালকে জানান, র‌্যাব খুব বেশি জিনিস আমদানি করে, তেমন নয়। র‌্যাবের প্রয়োজনীয় অধিকাংশ জিনিস আসে পুলিশ সদর দপ্তরের মাধ্যমে। শুধু গোয়েন্দা সরঞ্জাম আলাদাভাবে কেনা হয়। আর এসবের অর্থায়ন হয় সরকারের “উন্নয়ন, অনুন্নয়ন ” বাজেটের মাধ্যমে।
Exit mobile version