- ২৪ ডেস্ক
হলফনামায় দেওয়া তথ্যে কোনো গরমিল বা মিথ্যাচারের প্রমাণ মিললে সংসদ সদস্য (এমপি) পদ হারাতে পারেন নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। এমনকি নির্বাচিত হওয়ার পরও পুরো মেয়াদকালেই এ বিষয়ে তদন্ত করতে পারবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে কমিশনের এক সভা শেষে এ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানান নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
তিনি জানান, এখন থেকে প্রার্থীর দেওয়া হলফনামা ভোটের পরেও তদন্তের আওতায় থাকবে। এজন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) সুনির্দিষ্ট বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘একজন ব্যক্তি যে পদের জন্য নির্বাচন করছেন এবং হলফনামা জমা দিচ্ছেন, সেই পদের মেয়াদ থাকা পর্যন্ত যেকোনো সময় হলফনামার তথ্য যাচাই করা হবে। যদি হলফনামায় কোনো ধরনের অত্যুক্তি, বিচ্যুতি বা মিথ্যা তথ্য প্রমাণিত হয়, তাহলে তদন্ত করে প্রয়োজনে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে।’
তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন, ‘নির্বাচিত হওয়ার পরও যদি কারও বিরুদ্ধে হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তিনিও এই আইনের আওতায় আসবেন এবং তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল হতে পারে। এছাড়া, এ বিষয়ে আলাদাভাবে ফৌজদারি মামলাও হতে পারে।’