Prothom Alo|নিজস্ব প্রতিবেদক
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতা, প্রাণহানি, কারচুপি, জালিয়াতির ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠান দেশের গণতন্ত্র ও তৃণমূল পর্যায়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতার প্রশ্নে চরম হুমকিস্বরূপ বলে অভিহিত করা হয়। বিএনপি এই আইন করার সময় তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল এবং এই আইন সামাজিক বিভাজন ও সহিংসতা বৃদ্ধি করবে বলে মত প্রকাশ করেছিল। সাম্প্রতিক নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনাবলিতে বিএনপির বক্তব্যের সত্যতাই প্রতিষ্ঠিত হলো।
সভায় বলা হয়, সরকারি দলের নগ্ন হস্তক্ষেপ, প্রশাসনের পক্ষপাতিত্ব, নির্বাচন কমিশনের চরম ব্যর্থতা নির্বাচনী ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করে দিয়েছে। এ অবস্থায় অবিলম্বে বর্তমান অনির্বাচিত সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানানো হয়।
সভায় অবিলম্বে জ্বালানি তেল ও এলপিজি গ্যাসের মূল্য হ্রাস করার আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায় জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে পুরো অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে।
এ ছাড়া সম্প্রতি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ ও সিলেটের কানাইঘাট সীমান্তে চারজন বাংলাদেশিকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলি করে হত্যার ঘটনার তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানানো হয়। সভা মনে করে, সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণেই সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলা হয়, সীমান্তে চোরাচালান বন্ধ করার জন্য গুলি করে মানুষ হত্যা কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার প্রতিবাদে ১৮ নভেম্বর লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে, ১৯ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাটে এবং ২০ নভেম্বর ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভায় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।