ব্যারিস্টার পার্থ বলেন, এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নিজ দলের ভেতরে গণতন্ত্র চর্চা করেছে আওয়ামী লীগ। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হলো যে, গত ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে অনেক এমপি-মন্ত্রী ভেবেছিল যে, আর মনে হয় জনগণের কাছে যেতে হবে না। কিন্তু দলেরই বিদ্রোহী প্রার্থী থাকার কারণে অনেককে বেগ পেতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এবারের নির্বাচনে বিএনপি না গেলেও কিছু কিছু জায়গাতে জেনুইনভাবে ৩০-৪০ শতাংশ ভোট হয়েছে। সেসব জায়গাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিতেছে। সেটা হয়তো লোকাল রাজনীতিটা জাতীয় অবস্থান বা জাতীয় রাজনীতি মূল্যায়নের চেয়ে ক্ষমতাসীন ব্যক্তিকে ঠেকানোর জন্য হয়েছে। যার কারণে দলীয় মনোনীত প্রার্থীর বাইরে ভোট দিয়েছে।
পার্থ বলেন, হঠাৎ করে আমরা যদি বলি যে, এই নির্বাচনে কোনো ভোটার যায়নি, সেটা সঠিক হবে না। নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ৫০-৬০টা সিটে যেখানে গড় ২৫-৩০ শতাংশ ভোট পড়েছে বা মানুষ গেছেন। সেখানে জাতীয় ইস্যু সামনে না রেখে মন্ত্রী বা এমপিকে হারানোর জন্য ভোট দিয়েছে। বাকি সব আসন ৩-৪ শতাংশের বেশি ভোট পড়েনি। এবার হয়তো রাতে ভোট দিতে পারেনি, তবে দুপুর ১২টার পর থেকে ভোট দিতে হয়েছে। এ জন্য অধিকাংশ জায়গায় ভোট কাস্ট ও শতাংশ বাড়াতে পারেনি বলে মন্তব্য করেন সাবেক এ সদস্য।