- ২৪ ডেস্ক
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার দিবাগত রাত ১টা ৪০ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। তাঁর প্রেস সচিব শফিকুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জাতিসংঘের এই গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশনে অধ্যাপক ইউনূস বিশ্বনেতাদের সামনে বাংলাদেশের নতুন পথচলার রূপরেখা তুলে ধরবেন। তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কারমূলক কার্যক্রম এবং ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা জানাবেন।
এবারের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার প্রস্তাবে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে প্রথমবারের মতো একটি উচ্চপর্যায়ের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ‘হাই লেভেল কনফারেন্স অন দ্য সিচুয়েশন অব রোহিঙ্গা মুসলিমস অ্যান্ড আদার মাইনোরিটিস ইন মিয়ানমার’ শীর্ষক এই সভাটি ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ের পাশাপাশি শান্তি, নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন, নিরাপদ অভিবাসন, অবৈধ অর্থপাচার, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ফিলিস্তিনে শান্তি প্রতিষ্ঠার মতো বৈশ্বিক বিষয়গুলোও তুলে ধরবেন।
সফরকালে তিনি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এছাড়া বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করার কথা রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল রয়েছে। প্রতিনিধিদলে আছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের ও জামায়াত নেতা নকিবুর রহমান তারেক এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির।
এদিকে, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনও নিউইয়র্কে কমনওয়েলথ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সভা, পিসবিল্ডিং কমিশন মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠক এবং জি-৭৭ ও চীন, ওআইসি, বিমসটেক, সিকা ও এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন। সফর শেষে প্রধান উপদেষ্টার ২ অক্টোবর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।